সিনহা নিহতের ঘটনায় এবং তার গাড়ি থেকে মাদক উদ্ধারের অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা এ মামলা দুটির তদন্তভার আদালত র্যাবকে দিয়েছে বলেও সিফাতের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা জানিয়েছেন।
সিনহা ও সিফাতের সঙ্গে তথ্যচিত্র নির্মাণের কাজে কক্সবাজারে থাকা স্ট্যামফোর্ড শিক্ষার্থী শিপ্রা দেবনাথ রোববার কক্সবাজার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান।
শিপ্রার মত সিফাতের মামলায় জামিন আবেদনের ওপরও রোববার শুনানি করে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত। তবে তাৎক্ষণিক আদেশ না দিয়ে তা সোমবারের জন্য রাখা হয়েছিল।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ।
দুই বছর আগে সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যাওয়া রাশেদ ‘লেটস গো’ নামে একটি ভ্রমণ বিষয়ক ডকুমেন্টারি বানানোর জন্য গত প্রায় একমাস ধরে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকায় ছিলেন। ওই কাজেই তার সঙ্গে ছিলেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত ও শিপ্রা।
কক্সবাজারের পুলিশ বলছে, সিনহা তার পরিচয় দিয়ে ‘তল্লাশিতে বাধা দেন’। পরে ‘পিস্তল বের করলে’ চেক পোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গুলি করে।
পুলিশ সেদিন ঘটনাস্থল থেকেই সিফাতকে গ্রেপ্তার করে। পরে নীলিমা রিসোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শিপ্রাকে।
সিনহা নিহতের ঘটনায় এবং গাড়ি থেকে মাদক উদ্ধারের অভিযোগে টেকনাফ থনায় দুটি মামলা করে পুলিশ, যাতে সিনহা এবং তার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আসামি করা হয়।
আর নীলিমা রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে গ্রেপ্তার করার সময় মাদক পাওয়া যায় অভিযোগ করে তার বিরুদ্ধে রামু থানায় মামলা করা হয়।
তবে ঘটনার যে বিবরণ পুলিশ দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এ ঘটনায় সিনহার বোন ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামি টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলিসহ সাত পুলিশ সদস্যকে ইতোমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
Leave a Reply