নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানার হিজলা উপজেলার পাশ্ববর্তী আন্দারমানিক ইউনিয়নের আন্দারমানিক গ্রামে বৃদ্ধ মাকে গৃহবন্দী করে রাখার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মৃত আদম আলী খানের কন্যা ও মৃত ইয়াছিন খানের স্ত্রী খোদেজা বেগম (৯৩) মিনি স্ট্রোক করে দীর্ঘদিন যাবত প্যারালাইসিস রোগী হয়ে ঘর বন্দী আছেন। বার্ধক্যের কারনে সুস্থ মস্তিষ্কের নয় তিনি।পারিবারিক সুত্রে জানা যায়,তাহার তিন ছেলে এক মেয়ে রয়েছে।বড় ছেলে আলী আহন্মেদ খান, মেঝ মকবুল হোসেন খান,ছোট সেলিম খান এবং একমাত্র মেয়ে ছকিনা বেগম। খোদেজা বেগমের সকল সম্পত্তি ১০-১২ বছর আগে স্থানীয়( শালীশ) গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ আত্বীয় স্বজন দ্বারা ভাগ বণ্টনের মাধ্যমে চিটা ম্যাপ করিয়া দেওয়া হয় ।খোদেজা বেগমের ছেলে মেয়েরা আলাদাভাবে ৪টি পাকা ভবন নির্মাণ করে সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছেন।তারা নাল জমিতে বাগান সৃজিত করে ও চাষাবাদের মাধ্যমে ভোগ দখলে নিয়ত থাকেন।খোদেজা বেগম অসুস্থতা ও বার্ধক্য জনিত কারনে তাহার সম্পত্তি নিয়ে ছেলে মেয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদের সঠিক কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি। এরই ধারাবাহিতায় চিকিৎসার নামে তাহার মেঝ ছেলে মকবুল খান তার মা খোদেজা বেগমকে তার ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ করেছেন আত্নীয়স্বজনরা। অসুস্থ মাকে শত চেষ্টা করেও তার ছেলে মেয়েরা এক নজর দেখতে পারেননি। এই বিষয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য জামাল খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মোঃ নজরুল ইসলাম ঘরামী, মাস্টার সফিকুল ইসলাম, প্রাক্তন সুপার মাওঃ আঃ খালেকসহ খোদেজা বেগমের বাড়ির অন্যান্য প্রায় ২৫/৩০ জনসহ গত, ১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে খোদেজা বেগমকে অবরুদ্ধ করার কারন সম্পর্কে জানতে গেলে, তারা ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে রাখেন। অনেক ডাকচিৎকারের পরেও তারা দরজা খোলেননি।এখন আইনের আশ্রয় নিলেই তাকে উদ্ধার করা সম্ভব।ওই সকল গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ব্যর্থ হয়ে সবাই চলে যায়। অসুস্থ খোদেজা বেগমকে জিম্মি সম্পর্কে ছোট ছেলে মোঃ সেলিম খান, নাতি মোঃ জসিম উদ্দিন খান, জানায়,অসৎ উপায় ও জমি আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে খোদেজা বেগমকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। তাদের ধারনা বৃদ্ধা খোদেজা বেগম বর্তমানে মৃত্যুশয্যা আছেন। এবং তাকে বিভিন্ন উপায়ে মানসিক ভাবে নির্যাতন করতেছে। নাতি মোঃ জুয়েল হোসেন বলেন,আমার দাদী খোদেজা বেগমের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে, যে কোন সময় সে মৃত্যুবরণ করতে পারেন। জিম্মি থেকে উদ্ধার কারে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি বৃদ্ধের অন্য ছেলে মেয়েসহ আত্মীয়স্বজনদের।
Leave a Reply