হাওরে আধা কিলোমিটার সাঁতার কেটে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ধরেছে মধ্যনগর থানা পুলিশ। পুলিশ জানায়, মধ্যনগর থানার দক্ষিণ বংশীকুণ্ডা ইউনিয়নের আন্তরপুর গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে হারুন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে মহেশখলা সীমান্ত দিয়ে মাদক এনে দুর্গম হাওর এলাকায় বিক্রি করতেন। মাদকের মামলা ২ বছরের সাজা প্রাপ্ত হওয়ার পরও তিনি দুই বছর পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে বেড়িয়েছে।
বর্ষাকালে হাওরের ডিঙ্গি নৌকায় অবস্থান করে তিনি মাদক দ্রব্য বিক্রি করতেন। পুলিশের হাতে ধরার পড়ার ভয়ে তিনি ডাঙ্গায় থাকতেন না।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুনের নির্দেশনায় আন্তরপুর গ্রামে সিভিল ড্রেসে থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন, এসআই মুসাহিদ মিয়াসহ পুলিশের ৪ সদস্যের একটি দল গ্রামে ৪ দিন ৪ রাত অবস্থান করে মাদক ব্যবসায়ীর ডেরার সন্ধান পায়।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে। হারুন দুই বছরের সাজা প্রাপ্ত আসাসি হওয়ার পরও দুই বছর ধরে তিনি পালিয়ে বেড়ান। গত ২০ দিন ধরে হারুনকে ধরার জন্য পুলিশ চেষ্টা চালায়। কিন্তু তার অবস্থান ও গতিবিধি নির্ণয় করতে বেশ সময় লাগে। শুক্রবার বিকেলে হাওরে তাকে ধরার জন্য অভিযান চালানো হলে তিনি প্রথমে তার ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু হ্যান্ডেল দেয়ার সময় মেশিনের হ্যান্ডেল তার হাত ছিটকে হাওরের পানিতে পড়ে হারিয়ে যাওয়ায় তিনি আর নৌকার ইঞ্জিন চালাতে না পেরে হাওরে সাঁতার কাটা শুরু করে। এ সময় পুলিশের দুই সদস্যও হাওরে সাঁতার কেটে তাকে ধরতে সক্ষম হয়। পরে তাকে ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান
Leave a Reply