স্পেন মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার বাইরে বিধিনিষেধ শিথিলের পদক্ষেপ নিয়েছে, ওইসব এলাকায় এখন থেকে সর্বোচ্চ ১০ জন লোক দলবদ্ধ হয়ে সাক্ষাৎ করতে পারবেন।
মার্চে লকডাউনে যাওয়ার পর থেকে রোববার ইতালিতে সবচেয়ে কম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১৪৫ জনের মৃত্যু তালিকাবদ্ধ হয়েছে বলে দেশটি জানিয়েছে। এটি দেশটির দৈনিক মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা থেকে অনেক কম, ২৭ মার্চ সেখানে ৯০০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছিল।
স্পেনে লকডাউনের বিধিনিষেধ জারির পর থেকে প্রথমবারের মতো দৈনিক মৃত্যু একশর নিচে নেমে এসেছে। তবে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে, এমন আত্মপ্রসাদে ভুগতে শুরু করলে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
ইতালিতে রেস্তোরাঁ, বার, ক্যাফে, সেলুন ও দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও সামাজিক দূরত্ব বিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা মেনে কাজ চালাতে হবে। ক্যাথলিক গির্জাগুলো গণপ্রার্থনা ফের শুরু করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে, কিন্তু এখানেও সামাজিক দূরত্ব বিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে এবং অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককেই বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে। অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদেরও তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম শুরুর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বড় ধরনের সামাজিক সমাবেশের বিপদের ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
স্পেনে চলতি সপ্তাহের শেষে অধিকাংশ লোকই লকডাউনের আওতা থেকে মুক্ত হবে। সোমবার থেকে বারে ও রেস্তোরাঁয় বসার অনুমতি থাকবে। পরিবারের লোকজন ও বন্ধুবান্ধব ১০ জনের দলে একত্রিত হতে পারবে।
কিন্তু দেশটির উত্তরপশ্চিমের কয়েকটি অংশসহ মাদ্রিদ এবং বার্সেলানায় অধিকাংশ বিধিনিষেধ বজায় থাকবে, অবশ্য ছোট কিছু দোকানপাট খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
স্পেন এখন ভাইরাস সংক্রমণ থামানোর ‘খুব কাছে’ আছে বলে রোববার জানিয়েছেন দেশটির জরুরি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রধান ফার্নান্দো সিমন। তারপরও সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার ঝুঁকি ‘এখনও অনেক বড়ভাবেই’ আছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ইউরোপের অন্যান্য দেশের মধ্যে বেলজিয়াম সোমবার থেকে কঠোর শর্তাধীনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলার অনুমতি দিয়েছে।
পাশাপাশি পতুর্গাল, গ্রিস, ডেনমার্ক ও আয়ারল্যান্ডসহ আরও বেশি কয়েকটি দেশ লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
Leave a Reply