মোঃ আব্দুর রহিম ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ জামালপুরের ইসলামপুরে জোর পুর্বক ভাবে জমি বেদখলের চেষ্টা ও হুমকি’র অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ইসলামপুর উপজেলা নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কড়ইতাইর গ্রামের জহুরুল ইসলাম জোদ্দার গংদের সঙ্গে পৈতৃক সূত্রে জমিজমা নিয়ে একই গ্রামের দুলাল খা দের বিরোধ চলে আসছে। এই নিয়ে আদালতে মোকদ্দমাও চলছে। জমির প্রকৃত ওয়ারিশ সিএস মূলে ২৬৫০ দাগে ১২৫৩ খতিয়ানে ২একর ৩৩ শতাংশ জমির মালিক ছিল তাজুল সরকার কিন্তু উক্ত জমি ভূল বশত: ৬২ ও ৮০ রেকর্ড মূলে দখল করে রেখেছিল দুলাল খা গংরা। দীর্ঘদিন জহুরুল গংরা বাড়িতে না থাকায় উক্ত জমি কোন খোজঁ খবর ছিল না। যমুনা নদীর ভাঙ্গনে তারা ভিটেমাটি ছেড়ে ঢাকায় অবস্থান করে। জহুরুল ইসলাম গংরা বাদী হয়ে সম্প্রতি নিজ বাড়িতে এসে পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে জমি উদ্ধারে আদালতে রেকর্ড সংশোধনের মোকদ্দমা করেছে, যার মোকদ্দমা নং-৯৬,তারিখ-২৪.০৬.২০১৯ ইং। আদালতে মোকাদ্দমা চলা সময়ে বিবাদী গংরা জহুরুল ইসলাম জোদ্দারদের জমি বেদখলের পায়তারা করছে।
জহুরুল ইসলাম তার জমিতে ঘরবাড়ী তুলে বসবাস করলে ভূমি দস্যু দুলাল খাঁ এর লোকজন বাধাঁ প্রদান করছে এবং নানা হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।আব্দুল গফুর,ছালাম,ফারুখ,জহরুল ইসলাম ও হামিদুর রহমান পৈতৃক জমি সূত্রে মালিকেরা বক্তব্যে বলেন, নদী ভাঙ্গনের পরে ভিটামাটি হারিয়ে ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় চলে যায় আমরা। আমাদের থাকার ভিটেমাটি ও ছিলোনা। অনেক দিন পরে আমরা নিজের পৈতৃক সম্পত্তি ভিটাই বসবাস করলেই এলাকায় একদল প্রভাবশালী ভূমি দস্যুরা আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও বসতভিটা উচ্ছেদের পায়তারা করছে।
এ ব্যাপারে ভোক্তভোগী জহুরুল ইসলামে ভাতিজা হামিদুর ইসলাম দুলাল খা,বক্কর খা,বাদশা খা, রেজাউল খা, আমজাদ খা ও মূলে খাদের বিরুদ্ধে ইসলামপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
দুলাল খাঁ গংরা জানান, আমাদের ক্রয়কৃত জমির উপর জোর পূর্বক ভাবে জহুরুল ইসলাম গংরা ঘর উঠায়ে বেদখলের পায়তারা করছেন।
নোয়ারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সুরুজ্জামান জানান, কড়ইতাইর গ্রামের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোদ্ধ চলে আসছে,আদালতে মামলা মোকাদ্দমা চলছে যাতে কোন প্রকারে দূর্ঘটনা না ঘটে তাই উভয় পক্ষকে নোটিশ জারি করেছি।
Leave a Reply