বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বুধবার সাত লাখ ছাড়িয়ে গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের টালিতে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত ও মেক্সিকো করোনায় প্রাণহানিতে সবার সামনে রয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গড়ে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ৯০০ জন মারা যাচ্ছেন। গত দুই সপ্তাহের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে রয়টার্স বলছে, প্রতি ঘণ্টায় ২৪৭ জনের মৃত্যু হচ্ছে। অথবা বলা যায়, প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, করোনাভাইরাস যেভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, সেভাবেই নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে মহামারীতে ইতিমধ্যে এক লাখ ৫৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির সরকার এ ভাইরাস মোকাবেলায় সফল হয়নি। যে কারণে প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে।
অ্যাক্সিওস নিউজ ওয়েবসাইটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, তারা মারা যাচ্ছেন, এটি সত্য। এটি অপরিবর্তনীয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমাদের পক্ষে যা করা সম্ভব, তা করছি না। যতটা সম্ভব, ততটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। এটি ভয়াবহ মহামারী।
মহামারীর ভয়াবহতাকে হালকা করে দেখছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বোলসোনারো। এ ছাড়া তিনি লকডাউন পদক্ষেপেরও বিরোধিতা করে আসছেন। যদিও তার মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছেন।
দক্ষিণ আমেরিকায় মহামারী বিস্তারের ক্ষেত্রে কিছুটা ধীর ছিল। মহাদেশটিতে ৬৪ কোটি মানুষের বসবাস। কিন্তু ভাইরাস রোধে কর্মকর্তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারণ অঞ্চলটি দরিদ্রে জর্জরিত। এ ছাড়া শহরগুলো ঘনবসতিপূর্ণ।
দক্ষিণ আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের ১০ কোটি মানুষ বস্তিতে বসবাস করেন। অনেকেই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। যাতে তাদের সামাজিক নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই। মহামারীর মধ্যেও তাদের কাজ করে যেতে হচ্ছে।
এমনকি বিশ্বের যেসব অঞ্চলে ভাইরাসের নিয়ন্ত্রণ আনতে দেখা গেছে, সেসব দেশেও সম্প্রতি একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কাজেই কোভিড-১৯ রোগের বিরুদ্ধে লড়াই এখনও শেষ হয়ে যায়নি বলেই মনে করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়া, জাপান, হংকং, বলিভিয়া, সুদান, ইথিওপিয়া, বুলগেরিয়া, বেলজিয়াম, উজবেকিস্তান ও ইসরাইলেও সম্প্রতি ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ দেখা গেছে।
Leave a Reply