তবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ১৭ জনের তথ্য পেয়েছে।
গাজীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহিন বলেন, তার কাছে ছয়জন পোশাক শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য রয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজন টঙ্গীর গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে আর চারজন বাসায় রয়েছেন।
এই শ্রমিকরা সদর উপজেলার বাঘের বাজার শিরিরচালা এলাকা ও খাঁ-পাড়া এলাকায় হোম আইসোলেশনে আছেন। তারা টঙ্গীর আউচপাড়া এলাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করেন বলে জানান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহিন।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, তাদের হাসপাতালে কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়া তিন শ্রমিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনজনই আলাদা পোশাক কারখানার শ্রমিক। তাদের মধ্যে একজন আইসোলেশন সময় পার করে মঙ্গলবার বাসায় চলে গেছেন।
টঙ্গী গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নূরুল ইসলাম দুই শ্রমিক আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পেয়েছেন।
তিনি বলেন, তাদের হাসপাতালে কোভিড-১৯ আক্রান্ত দুই পোশাক শ্রমিককে ভর্তি করা হয়েছিলেন। তাদের একজনের বাড়ি নওগাঁর পীরগঞ্জে। তিনি টঙ্গীর মুদাফা এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। অপরজনের বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলায়। তিনি গাজীপুরা এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল থেকে তাকে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে তিনি জানান।
টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ওসি আলম চাঁদও বলেন, গাজীপুরের কাশিমপুর সাবাবো এলাকার একটি কারখানার একজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত শ্রমিক নাগরপুর থানার গয়হাটা এলাকায় পুগলি গ্রামে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এএসএম ফাতেহ্ আকরাম জানান, তেলিহাটি এলাকার একটি কারখানার একজন শ্রমিক কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। তার গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলায়।
গাজীপুরের দুই শ্রমিক এখন লালমনিরহাটে রয়েছেন।
লালমনিরহাট জেলার সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় বলেন, গাজীপুরের সাইনবোর্ড এলাকার দুই শ্রমিক কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে রয়েছেন। তারা সুস্থ আছেন।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালে দুই শ্রমিক আক্রান্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছেন গাজীপুরের সরকারি মাঝুখান কমিউিনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী মো. সফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, এই দুইজন হলেন কালিয়াকৈর উপজেলার পূর্ব মৌচাক এলাকার এক পোশাক শ্রমিক ও গাজীপুর শহরের মাঝুখান এলাকার জুতা কারখানার এক নারী শ্রমিক। তারা গত ১০ মে এ ক্লিনিকে নমুনা দিয়েছিলেন। তারা গাজীপুর শহরের ভান্নারা ও মাজুখান এলাকায় হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানা খোলা রাখার চেষ্টা চলছে। তবু শ্রমিকদের মধ্যে সংক্রমণের খবর আসছে।
এ বিষয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক বলেন, কারখানা মালিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে চিঠি দেওয়া হয়েছে, যাতে শ্রমিকদের কারখানার ঢোকার সময় তাপমাত্রা পরিমাপ করাসহ হাত ধোয়া ও মাস্ক পরা নিশ্চিত করা হয়। স্বাস্যবিধি মানা হচ্ছে কি না তা তদারক করা হচ্ছে।
Leave a Reply