ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। আর এই হামলার জেরে গত শনিবার থেকে অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে প্রতিশোধমূলক হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী।
বৃহস্পতিবার গাজায় চলমান হামলা নিয়ে ইসরাইলকে হুশিয়ারি দিয়েছে ইরান। খবর আলজাজিরার।
ইরান হুশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইসরাইল যদি অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে বোমাবর্ষণ অব্যাহত রাখে, তা হলে চলমান সংঘাত ‘অন্যান্য ফ্রন্টেও’ শুরু হতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যদি ইসরাইলের বোমাবর্ষণ অব্যাহত থাকে, তবে চলমান যুদ্ধ ‘অন্যান্য ফ্রন্টে’ শুরু হতে পারে বলে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন। আর এর মাধ্যমে তিনি লেবাননের সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর কথাই উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের পর এবার সিরিয়ায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইল, যা বলল রাশিয়া
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বৈরুতে পৌঁছান। সেখানে লেবাননের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি হামাস এবং ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের প্রতিনিধিরা তাকে স্বাগত জানান।
লেবাননের রাজধানীতে পৌঁছে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। সেখানে তিনি বলেন, ‘গাজায় অব্যাহত আগ্রাসন, যুদ্ধাপরাধ এবং অবরোধের আলোকে চলমান সংঘাত অন্যান্য ফ্রন্টে শুরু হওয়ার বাস্তব সম্ভাবনা রয়েছে।’
আমির-আব্দুল্লাহিয়ান লেবাননের আগে ইরাক সফর করেছেন এবং আঞ্চলিক সফরের অংশ হিসাবে এই সপ্তাহের শেষের দিকে সিরিয়ায় গিয়ে তিনি আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আলজাজিরা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন একসময়ে বৈরুত সফর করছেন, যখন লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে তেহরানের মিত্র হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে হিজবুল্লাহর একটি ড্রোন ইসরাইলে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হিজবুল্লাহ বৃহস্পতিবার ইসরাইলের ওপর একটি ড্রোন উড়িয়েছে।
এ ছাড়া ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে অবস্থান নেওয়ার জন্য ঐকমত্যে পৌঁছাতে বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।
বৃহস্পতিবার এই দুই প্রেসিডেন্ট টেলিফোনে চলমান হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেন। এ সময় ইব্রাহিম রাইসি সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘ইসলামি ও আরব দেশগুলোর পাশাপাশি বিশ্বের সব স্বাধীন জনগণকে নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসকদের অপরাধ থামাতে একটি অবস্থানে পৌঁছাতে হবে।’
ইরান
Leave a Reply