মো:শাহজালাল রানা :
চট্টগ্রামে শামসুল হুদা মিয়া লেইন, ৩৪ নং পাথরঘাটার অন্তর্গত একটি আবাসিক এলাকা। লেইন দিয়েই এই খানকার অধিবাসীদের চলাফেরা। আবাসিক এলাকা হলেও এই খানে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা গড়ে উঠেছে। এই ব্যবসায়ীদের দৌরাত্মের কারণে এলাকার বাসিন্দাদের অনেক ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
দোকানের বাইরে মালামাল রাখার ফলে চলাচলে বিঘ্ন ঘটে-
নিচের ছবিতে দেখতে পাবেন, পুরো রাস্তা জুড়ে ড্রাম আর রিকশা রাখা হয়েছে। এই ব্যবসায়ীরা দোকানের বাইরেই মালামাল রাখে আর রিকশার গ্যারেজ ছোট হওয়ায় রিকশা গুলো সব রাস্তায় রেখে দেওয়া হয়।
এইভাবেই তাদের ব্যবসা চলতে থাকে, কোন আইন কানুন তারা মানে না। আবার কিছু জালের ব্যবসায়ীও আছে যারা মালামাল রাস্তায় বিছিয়ে রাখে। এলাকার মহল্লা কমিটি এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়ে বেশি দুর যেতে পারেনি কারণ ব্যবসায়ী সমিতি নামে কিছু সমিতি আছে যারা এই অনৈতিক কাজগুলো সমর্থন করে আসছেন। এই ব্যবসায়ীরা কেউই এই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা নন বলছে এলাকাবাসী।
ক্ষতিকর কেমিকেল নদীগর্ভে এবং গ্রাউন্ড ওয়াটার কে দুষিত করছে-
এই এলাকায় যে প্রধান ব্যবসা হিসেবে প্লাস্টিকের ড্রাম বা কন্টেইনার বিক্রি করা হয়। ড্রাম ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ফ্যাক্টরী থেকে এই প্লাস্টিক কন্টেইনার গুলো কিনে নিয়ে আসে, এবং এই কন্টেইনার গুলো কেমিকেল পরিবহনের কাজে ব্যবহ্রত হয়, ব্যবহারের পর কেমিকেল রিসিডিউ সহ ব্যবসয়ীরা কিনে নিয়ে আসে। এই কন্টেইনার গুলো তারপর শামসুল হুদা মিয়া লেইনে ধোওয়া হয় যার ফলে ক্ষতিকর কেমিকেল গুলো নালায় এবং গ্রাউন্ড ওয়াটারের সাথে মিশে যায়। ব্যবসায়ীরা রাস্তায় এইসব উন্ন্মুক্ত ভাবেই ধোয়। এই ক্ষতিকর কেমিকেল গুলো কারণে এই এলাকার মাটির নিচের পানি সম্পূর্ণ দূষিত হয়ে গেছে মুখে তোলা যায় না। সবাই চুপ করে সহ্য করে আছে। এক সময় এই এলাকার পানি খুবই ভালো ছিল, টিউবওয়েল থেকে সরাসরি খাওয়া যেত কিন্তু এখন আর খাওয়া যাচ্ছে না, পানির লেভেল ও অনেক নিচে নেমে গেছে বলছে এলাকাবাসী।
প্রতিদিন রাতে দানবাকৃতির কাভারভ্যান এবং ট্রাকের চলাচল সরু গলিতে।
এই প্লাস্টিক কন্টেইনার এবং জালের ব্যবসায়ীরা মালামাল গুলো রাতেই আনে। সারারাত বিশাল বিশাল ট্রাক এবং কাভারভ্যানে করে মালামাল আসে, প্রায়ই এই কাভারভ্যান গুলো বিভিন্ন দালানের ক্ষতি করে, অনেকবার বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে ফেলেছে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এই এলাকা বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে।
এলাকাবাসী যথাযথ ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
Leave a Reply