নোটিশ :
জরূরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: সারাদেশ ব্যাপী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: 01753741909, সিভি পাঠান:  crimejanata24@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ :
হিজলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে হত্যা মামলার শিকার হয়ে নিঃস্ব কয়েকটি পরিবার। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে বলেন বরিশাল ৪ আসনের সংসদ পঙ্কজ নাথ। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে নগদ টাকা ও টিন তুলে দিলেন, স্থানীয় সাংসদ পংকজ নাথ। মেহেন্দিগঞ্জে লঞ্চ থেকে ৩৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার, আটক-৩ বরিশালের হিজলায় ভীশণ কেয়ার হসপিটালের মালিকানা নিয়ে ভিশন যন্ত্রনায় মালিক পক্ষ। উপজেলা পর্যায়ে লাইভ ভেরিফিকেশন কর্মসূচি। হিজলায় রহমান এন্ড নেছা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান। হিজলায় পৈতৃক ভিটা থেকে ভাতিজিকে উচ্ছেদের অভিযোগ হিজলায় কোস্ট গার্ড গরিব দুস্থ্য মানুষের মাঝে বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ হিজলা প্রতিনিধি কাজিরহাটে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক ইউপি সদস্যের
চাকুরির সুবাদে নয় স্বেচ্ছাসেবী হয়ে হাসপাতালে কাজ করছেন যুগের পর যুগ, অধিক কর্মতৎপরতা বেড়েছে করোনায়।

চাকুরির সুবাদে নয় স্বেচ্ছাসেবী হয়ে হাসপাতালে কাজ করছেন যুগের পর যুগ, অধিক কর্মতৎপরতা বেড়েছে করোনায়।

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে গেলে চোখে পড়বে শেখ সাদি, মিজানুর রহমান, মজিদুল ইসলাম, রশিদা বেগম, স্বপন কুমার মোহন্তসহ ৩৬ জন ছেলে-মেয়ে সর্বদা কর্মব্যস্ত। এদের কেউ কাজ করছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে, কেউ অপারেশন থিয়েটারে, কেউ সার্জারি ওয়ার্ডে, কেউ শিশু ওয়ার্ডে, কেউ ঔষধ বিতরণে আবার কেউ ডাক্তারের চেম্বারে রোগীদের সিরিয়াল ও ভিড় সামলাতে। এদের কাজের অন্ত নেই। সকলেই তারা হাসপাতালের কর্মী কিন্তু চাকরির সুবাদে নন। সবাই এখানে স্বেচ্ছাশ্রমে হাসপাতাল কর্মী।

এদের কেউ এক যুগ আবার কেউ দেড় যুগ ধরে এভাবেই স্বেচ্ছাশ্রমে হাসপাতাল কর্মী হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

করোনা দুর্যোগকালে তাদের দায়িত্ব বেড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে তারা হাসপাতালে নিয়মিত কর্মতৎপর থাকছেন, সেবা দিচ্ছেন রোগীদের। ঝুঁকি সত্ত্বেও তাদের মধ্যে একজনও হাসপাতালে আসা বন্ধ করেননি।

গত তিন মাস ধরে হাসপাতালের উন্নয়ন তহবিল থেকে এসব স্বেচ্ছাশ্রম কর্মীদের মাসে এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। এর আগে কিছুই পেতেন না তারা। একদিন তাদের চাকরি সরকারি হবে, এই আশায় বুক বেঁধে হাসপাতালে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে যাচ্ছেন এই মানুষগুলো। কিন্তু তারা জানেন না কবে তাদের চাকরি সরকারিকরণ হবে। তাই মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে যুগকাল ধরে থাকা হাসপাতালের এই স্বেচ্ছাশ্রম কর্মীদের।

এমনই একজন স্বেচ্ছাশ্রম কর্মী শেখ সাদি বলেন, ‘চাকরির আবেদন করার বয়সও শেষ হয়ে গেছে। এখন আর কোথায় যাব? তাই হাসপাতালকেই আঁকড়ে ধরে আছি, যদি কোনো দিন আমাদের প্রতি সরকার সদয় হয়। আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি কিন্তু হাসপাতালে এসে হাসিমুখে থাকি। কারণ আমাদের হাসিই রোগীদের সুস্থ করতে সহায়তা করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কখনো কাজ ফাঁকি দেই না। করোনা দুর্যোগকালে আমাদেরকে আরও বেশি কাজ করতে হচ্ছে। কাজটা ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও দায়িত্ব পালন করছি মনোবল নিয়ে।’

আরেকজন স্বেচ্ছাশ্রম কর্মী স্বপন কুমার মোহন্ত বলেন, ‘হাসপাতালে ডিউটি শেষে আমাদের অনেকে বিভিন্ন ক্লিনিক ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডিউটি করে আয় করে। গত তিন মাস ধরে হাসপাতাল থেকে যা পাচ্ছি তা পকেট খরচ মাত্র। পরিবারের বাঁধা উপেক্ষা করেই করোনাকালে ঝুঁকি নিয়ে ডিউটি করছি। এখনো স্বপ্ন দেখি, একদিন না একদিন আমাদের হাসপাতালের চাকরিটা সরকারিকরন হবে।’

এক যুগেরও বেশি সময় ধরে স্বেচ্ছাশ্রম কর্মী হিসেবে কাজ করছেন রশিদা বেগম। প্রত্যাশার কথা জানিয়ে রশিদা বেগম বলেন, ‘চাকরিটা সরকারি হবে এমন আশায় আজ-কাল করেই যুগ পার হয়ে গেছে। এখনো আশায় আছি। করোনার ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত ডিউটি পালন করছি। যদি কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হয়ে আমাদের প্রতি সদয় হন সেই আশায়।’

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আপাতত স্বেচ্ছাশ্রম কর্মীদের যা দেওয়া হচ্ছে তা অতি নগণ্য। তাদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’

লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘করোনা দুর্যোগকালে স্বেচ্ছাশ্রম কর্মীরা অনেক বেশি দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের বিষয়ে ভাবার সময় এসেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। যাতে তাদের চাকরি সরকারিকরনে জন্য সরকার ইতিবাচক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2020 Crimejanata24.Com
Design & Development: Hostitbd.Com