ট্রেনের টিকিট যেন সোনার হরিণ। আন্তঃনগর তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র ট্রেনের টিকিট দ্বিগুণের বেশি দামে বিক্রি করছেন রিকশাচালক, চা বিক্রেতা, হোটেল শ্রমিক ও মনোহরিসহ কম্পিউটার দোকানের কর্মচারীরা। ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ চলাচলকারী আন্তঃনগর মেইলসহ অন্যান্য ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আন্তঃনগর তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র দুটি ট্রেন চলাচল করছে। ট্রেনের টিকিট ৫ দিন আগেই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে কেটে সংগ্রহ করে তাদের মনোনীত দোকানদারদের কাছে টিকিট বিক্রির জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়।
শুক্রবার দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশনে ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, কুলকান্দি গ্রামের শাহাজালাল আন্ত:নগর তিস্তা ট্রেনের ট বগিতে ৬টি টিকিট কিনেছেন প্রতিটি ২২৫ টাকার পরিবর্তে ৫৫০ টাকা করে। টিকিট ক্রয় করেছেন কুলকান্দি এলাকা থেকেই। বেলা ২টা ৪০ মিনিটে স্টেশন এলাকায় এক তরুণ তিস্তা ১ম শ্রেণির এসি টিকিট বিক্রি করলেন ১০০০ টাকায়।
দেওয়ানগঞ্জ পৌর এলাকার মাসুদ মিয়া একই ট্রেনের গ বগিতে এসি কেবিনের টিকিটের মূল্য ৫২৫ টাকা হলেও প্রতিটি টিকিট কিনেছেন ১৩৫০ টাকা করে। এই ট্রেনযাত্রী আক্ষেপ করে বলেন, আগে স্টেশনের টিকিট কালোবাজারিদের কাছে বিক্রি হতো, এখন দোকানে বিক্রি হচ্ছে- লিখে কী হবে। ঞ ও ত বগির যাত্রী রফিকুল তিনটি টিকিট কিনেছেন ১১০০ টাকা করে।
দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আ. বাতেন জানান, দুইজন যাত্রীর সাথে কথা বলে তিনি জেনেছেন দ্বিগুণ দামে টিকিট কিনেছেন। অচিরেই কমিউটার ও অগ্নিবীণা ট্রেন চালু হচ্ছে। এ সমস্য থাকবে না। নিরাপত্তা ইন্সপেক্টর সিরাজুল ইসলাম জানান, নিরাপত্তাকর্মীরা তৎপর রয়েছেন। ট্রেনে বিনাটিকিটে কাউকে পাওয়া গেলে জরিমানা করা হবে।
Leave a Reply