এসব শহরের মেয়রদের ‘লিবারেল ডেমোক্রেট’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমরা আইন প্রয়োগকারীদের পাঠাচ্ছি। শহরগুলোতে এসব হতে দেওয়া যায় না।”
অরেগনের জাতীয় পর্যায়ের ও স্থানীয় নেতারা, পাশাপাশি কংগ্রেস সদস্যরাও রাজ্যটির পোর্টল্যান্ড শহর থেকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সিক্রেট পুলিশ বাহিনী সরিয়ে নিতে ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শনাক্ত করা যায়নি এমন ফেডারেল এজেন্টরা লোকজনকে ধরপাকড় করে কালো মিনিভ্যানে করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে, এমন ভিডিও সামনে আসার পর তারা এ আহ্বান জানান।
নির্বাচনের বছরে তার শহরে ফেডারেল এজেন্টদের এ উপস্থিতিকে ‘রাজনৈতিক রঙ্গ’ বলে অভিহিত করেছেন পোর্টল্যান্ডের মেয়র টেড হুইলার।
এক টুইটে হুইলার বলেছেন, “তিনি শুধু আইন ভাঙছেন না, তিনি পোর্টল্যান্ডবাসীদের জীবন বিপন্ন করছেন বলে মনে করি আমি।”
মিনেসোটা রাজ্যের মিনিয়াপোলিসে পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে পুলিশি নির্যাতন ও বর্ণবাদ বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। কোথাও কোথাও বিক্ষোভ সহিংস রূপ ধারণ করে এবং কয়েক জায়গায় লুটপাটের মতো ঘটনাও ঘটে। জুনের ওই সময়ে ট্রাম্প নিজেকে ‘আইন-শৃঙ্খলার প্রেসিডেন্ট’ ঘোষণা করেছিলেন এবং কয়েকটি শহরে সামরিক বাহিনী পাঠানোর হুমকি দিয়েছিলেন।
গত সপ্তাহে পোটল্যান্ডের বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে দমনাভিযান শুরু করে ফেডারেল এজেন্টরা। এ সময় ফেডারেল ভবনগুলো রক্ষায় তারা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার করে এবং কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই বেশ কিছু আন্দোলনকারীকে ধরে নিয়ে যায়।
“তারা বহু লোককে ধরেছে ও তাদের নেতাদের জেলে পুরেছে। এরা নৈরাজ্যবাদী,” পোর্টল্যান্ডে পাঠানো ফেডারেল এজেন্টদের তৎপরতার বিষয়ে বলেছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের এই কৌশলের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও সোমবার ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) কর্মকর্তারা জানান, তারা দায়িত্ব থেকে সরবেন না আর ক্ষমাও চাইবেন না।
অরেগনের বাসিন্দাদের ‘বেআইনিভাবে আটক’ করার অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে অরেগন রাজ্য ও আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন।
Leave a Reply