ঢাকা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলের যাত্রাবাড়ী থানা সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। অন্যদিকে নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল থেকে প্রার্থী করা হয়েছে রাণীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হেলালকে। সোমবার তার সংসদ ভবনের সরকারি বাসভবনে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, গত ৩১ আগস্ট গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ও বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং দলীয় প্রধানের নির্দেশ ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করছেন তিনি। নির্বাচন কমিশন তফসিল দেওয়ার পর ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলীয় প্রার্থীর বিজয়ের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। এর আগে গত ৩১ আগস্ট গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান বিশ্বাসের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছিল। ওই বৈঠকে বাকি চারটি আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর অর্পণ করেছিলেন মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা। এর আগে পাঁচটি আসনের উপনির্বাচনের জন্য মোট ১৪১ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী দলীয় মনোনয়নপত্রের ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ঢাকা-৫ আসনে ২০ জন, ঢাকা-১৮ আসনে ৫৬ জন, পাবনা-৪ আসনে ২৮ জন, নওগাঁ-৬ আসনে ৩৪ জন এবং সিরাজগঞ্জ-১ আসনে ৩ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচন ১৭ অক্টোবর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন হবে ২৬ সেপ্টেম্বর। এছাড়া ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচন আরো ৯০ দিন পিছিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত ২ এপ্রিল পাবনা-৪ আসনের এমপি শামসুর রহমান শরিফ ডিলু, ৬ মে ঢাকা-৫ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লা, ১৩ জুন সিরাজগঞ্জ-১ আসনের এমপি ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, ৯ জুলাই ঢাকা-১৮ আসনের এমপি ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এবং ২৭ জুলাই নওগাঁ-৬ আসনের এমপি ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে এই পাঁচটি আসন শূন্য হয়। সবগুলো আসনের মৃত্যুবরণকারী এমপি আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
Leave a Reply