পটিয়ায় প্রভাবশালীদেরঅবৈধ

দখলে মহকুমা প্রশাসকের জায়গা

……………………………………

পটিয়া চট্টগ্রাম)থেকে সেলিম চৌধুরীঃ- চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের বাস স্টেশন এলাকায় পটিয়া মহকুমা প্রশাসকের জায়গা একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখলে রাখার  অভিযোগ উঠেছে। মহকুমা প্রশাসকের জায়গায় অবৈধভাবে দখলে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ১০/১২টি দোকান ঘর নির্মাণ করে নামে মাত্র  ভাড়া দিয়ে দখলে রেখেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। অবৈধ দখলদারের কারণে উক্ত জায়গায় পটিয়া উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ করতে পারেনি বলে স্থানীয়রা জানায়।

সূত্রে জানায়, পটিয়া মহকুমা প্রশাসকের নামে ১৯৭৭ সালে ২ একর ১১ শতক জায়গা সরকার অধিগ্রহণ করেন। সারা দেশের মহকুমাগুলো জেলায় রুপান্তর করা হলেও পটিয়া উপজেলা থেকে যায়। জেলা না হওয়ায় মহকুমার জায়গাগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে প্রভাবশালী চক্র দখলে নিয়ে গড়ে তোলের অবৈধ স্থাপনা। কিছু জায়গার উপর মহকুমা মসজিদ ও পুকুর থাকলেও বাকী জায়গুলো প্রভাবশালীরা দখলে রয়েছে । ২০১৮ সালে মহকুমা মসজদিকে উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হলেও একটি প্রভাবশালী চক্রের কারণে মহকুমা মসজিদ নির্মাণ সম্ভব হয়নি। পটিয়া মহকুমা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বদিউল আলমসহ মসজিদ পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে ছিলেন।  কমিটিকে ভুল তথ্য দিয়ে প্রভাবশালীরা মসজিদের জায়গা থাকা শর্তেও অন্য জায়গায় ষড়যন্ত্র করে স্থান্তরের অভিযোগ স্থানীয় ও মসুল্লিদের। পটিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড   হাজী আনোয়ার আলী চৌধুরী জামে মসজিদকে মহকুমা (মডেল) ইউনিয়ন মসজিদ হিসেবে ইতোমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে। সেখানে মসজিদের মোতোয়ল্লির আপত্তি রয়েছে। পটিয়া মহকুমা মসজিদকে সামান্য ভাড়া দিয়ে ৮/১০ অবৈধ দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা বাণিজ্য করার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে হাজী আবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি ২০১৯ সালে লিখিত অভিযোগ করেন। হাজী আনোয়ার আলী চৌধুরী জামে মসজিদের মোতোয়াল্লি পরিবারের সদস্য আবু তাহের চৌধুরী বলেন, আমাদের জায়গার উপর আমাদের না জানিয়ে মডেল মসজিদ নির্মাণের কাজ চলছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বড় ধরণের বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, কি মূলে আমাদের মসজিদের জায়গায় মডেল মসজিদ হচ্ছে সে বিষয়ে আমরা কেউ কিছু জানি না এছাড়াও মসজিদ নির্মাণ করলে জায়গা অধিগ্রহণ করেনি।

এ বিষয়ে জানার জন্য মহকুমা মসজিদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বদিউল আলম বলেন, মসজিদের জায়গা সংকুলন না হওয়ায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি বলে  দাবি করেন। এ বিষয়ে পটিয়া মহকুমা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পটিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মহিউদ্দীন চেয়ারম্যান বলেন, আগের কমিটিতে যারা ছিল তারা পরিকল্পিতভাবে মডেল মসজিদটি মহকুমা মসজিদ থেকে সরিয়ে দিয়ে অন্য জায়গায় স্থান্তর করতে সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিছু দোকান ও জায়গা অবৈধ দখলদারদে সুবিধা দিতে এটা করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী খন্দকার জহিরুল ইসলাম বলেন, জেলা পরিষদের জায়গা কেউ অবৈধ দখলে রাখলে আমরা ব্যবস্থা নিব, মডেল মসজিদ নির্মান যেখানে হওয়ার কথা সেখানে না হওয়ার কারণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভাল বলতে পারবেন বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য পটিয়া পৌরসদরের আল্লাই-ওখাড়া এলাকার ১৫০ বছরের প্রাচীন হাজী আনোয়ার আলী চৌধুরী জামে মসজিদের জায়গা, পুকুর, অজুখানা ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসা জোর পূর্বক দখলের প্রতিবাদে গত ৭ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করেছেন মসজিদের মোতোওয়াল্লী সুলতান আহমদ চৌধুরী। এসময় সাথে ছিলেন মসজিদের মোতোওয়াল্লীর ছোট ভাই আবু তাহের চৌধুরী, মুসল্লী আকতার হোসেন, রিভিউ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পটিয়ার সভাপতি এম. নাসির উদ্দীন, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ কবির আরমান, হাজী আনোয়ার আলী স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাইফুর রহমান ও সাবেক সেক্রেটারী মোহাম্মদ সেলিম প্রমখ