পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা জাহান উপমা করোনা সংকট মোকাবেলা কড়া সতর্ক বার্তা
..………………………………………
সেলিম চৌধুরী পটিয়াঃ-
করোনা সচেতনতা ও অভিজ্ঞতা.একটু আগে একজন ইউপি সদস্য ফোন দিয়ে একটি হাট/বাজারের কথা বললেন যেখানে দোকানদাররা/মানুষ বিধিনিষেধ মানতে চাইছেন না। এক জায়গায় জড়ো হচ্ছেন, চা দোকানদার দোকান খুলে চা বিক্রি করছেন, ছেলে-বয়স্ক সকলে মিলে আড্ডা দিচ্ছেন। অথচ এই হাট টিতে আমি নিজেই অন্তত তিনবার গিয়েছি, মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। গতকালকেও এই হাটে আমরা প্রচারণা অভিযান চালিয়েছি। তাহলে, প্রশ্ন হলো,
১. আমরা কেন সচেতন হচ্ছি না?২. আমরা ইউপি সদস্য/চেয়ারম্যান /গ্রাম পুলিশ কাওকে গ্রাহ্য করছি না কেন? আমাদের নিজেদের ভালোর জন্য জনপ্রতিনিধি /প্রশাসন যা বলছে তা আমরা কেন মানছি না?৩. আপনাদেরকে যদি কারণ নাই থাকতো তাহলে বিনা কারণে ঘরে থাকতে বলে /আপনাদের ঘরে রাখার পেছনে জনপ্রতিনিধি /প্রশাসনের কোন ব্যক্তিস্বার্থ কি আছে?
৪. পুলিশ/উপজেলা প্রশাসন একসাথে কয় জায়গায় খেলাধুলা/চা দোকান/আড্ডা/ সমাবেশ বন্ধ করবে যদি আপনারা আমাদেরকে সহযোগিতা না করেন?
৫. আমরা তাহলে কি পন্থায় ঘরে থাকব? এখানে যেসকল ছেলেরা আড্ডা /খেলাধুলা/চায়ের দোকানে ভিড় করছে তারা কি জীবিকার তাগিদে করছে, নাকি নিছক অসচেতনতা/অসাবধানতা?
আমরা কবে সচেতন হব, কেও কি একটু বলবেন? জীবিকার সমস্যায় আপনার ঘরে আমরা মানবিক সহায়তা নিয়ে যাব নাকি মাঠে ছেলেরা খেলছে তা বন্ধ করতে যাব? উন্নত বিশ্বে মৃত্যুর মিছিল। প্রিয় ভাইয়েরা/বোনেরা, আমাদের বাংলার দামাল ছেলে-মেয়েরা যদি যুদ্ধ জয় করতে পারে, বিশ্বকাপে অদম্য লড়তে পারে, তারা কি পারেন না সবাইকে প্রয়োজন ছাড়া ঘর হতে বের না হওয়া নিশ্চিত করতে? প্লিজ আমরা সচেতন হই। নিজে বাঁচি, পরিবারকে বাঁচতে দেই, অন্যকে বাঁচতে দেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছুটি বর্ধিত করেছেন। আতংকিত হতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু, সচেতন হতে বলেছেন। সকল ধর্মে মানুষকে সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাসের পাশাপাশি সচেতন হতে বলা হয়েছে। এই সময়ে আপনারা প্লিজ ঘরে থাকুন। প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা জাহান উপমা। সুএঃ ০১/০৪/২০ ইং রাত সাড় ৮টায় পটিয়া উপজেলা প্রশাসন ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেওয়া।
Leave a Reply