নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পারিবারিক ঝগড়া থামাতে গিয়ে বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলে খুন হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন তার বাবা ও মা।
নিহতের নাম সোহাগ (১৫), একই এলাকার রিকশাচালক হারেজ মিয়ার ছেলে। আহত মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, রিকশাচালক হারেজ মিয়া, তার স্ত্রী হোসিয়ারী শ্রমিক মনোয়ারা বেগম (৪০), তাদের ছেলে গার্মেন্ট শ্রমিক সোহাগ ও মেয়ে বীথি আক্তার (১৩) টিনশেড বাড়িতে এক রুমের ভাড়া বাসায় থাকেন।
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় হারেজ তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করলে ছেলে সোহাগ এতে বাধা দেয়। তখন হারেজ তার ছেলেকেও ছুরিকাঘাত করে।
ওই সময় বীথি ঘুমিয়ে ছিল। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং বাবা হারেছ ও মা মনোয়ারা বেগমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত সোহাগের মরদেহ ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তের জন্য পুলিশের একটি দল কাজ করছে।
Leave a Reply