মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এক তরুণীকে পাহাড়ের টিলায় একটি ঘরে বেঁধে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার রাতে উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ওই ঘর থেকে বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত জুবায়েদ আলী ওরফে শাকিলকে (২৫) আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে ওই তরুণী চাচার বাড়ি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় উপজেলার রাজকান্দি গ্রামের বশির উল্ল্যার ছেলে জুবায়েদ আলী তার গতিরোধ করে তাকে তুলে নিয়ে পাহাড়ী টিলার ওপর পরিত্যক্ত একটি ঘরে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে ধর্ষণ করে।
ওই তরুণী বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন রাতে তাকে খুঁজতে থাকেন। মঙ্গলবার সকালে আনু মিয়ার পরিত্যক্ত পাহাড়ি টিলার একটি ঘরে তিনি রয়েছেন বলে জানতে পেরে স্থানীয় লোকজনসহ পরিবারে সদস্যরা নির্যাতনের স্বীকার মেয়েটিকে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এলাকাবাসীর আসার খবর পেয়ে বখাটে যুবক পালিয়ে যায়।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাসসহ জনপ্রতিনিধরা ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। নির্যাতনের শিকার তরুণীকে চিকিৎসার জন্য কমলগঞ্জ উপজেলা ৫০ শষ্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠান। তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শুকুর আলী বলেন, ঘরে বাঁধা অবস্থায় নির্যাতিত মেয়েটিকে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় পরিবারে লোকজন উদ্ধার করেন।
কমলগঞ্জ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, বিষয়টি স্পর্শকাতর। তাই ভালো চিকিৎসার জন্য জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত জুবায়েদ আলী ওরফে শাকিলের বাবার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি এবং হাসপাতালে ভর্তি মেয়েটির বক্তব্য শুনেছি। আসামিকে গ্রেপ্তার করা চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply