দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে পেঁয়াজ রপ্তানি পুনরায় শুরু করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক চিঠিতে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি নীতিমালায় হঠাৎ সংশোধন আনার ঘোষণায় বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, কেননা এই ঘোষণা বাংলাদেশের বাজারে অপরিহার্য খাদ্য সামগ্রী সরবরাহে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে।
গত ১৫-১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দুই দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকের কথা উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, ওই বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় অপরিহার্য খাদ্য সামগ্রী রপ্তানি বন্ধ না করার জন্য ভারতীয় পক্ষের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। এ ছাড়া এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা অপরিহার্য হয়ে পড়লে সেক্ষেত্রে আগেভাগেই তা বাংলাদেশকে জানানোর অনুরোধও জানানো হয় বৈঠকে।
গত বছরের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময়েও বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছিল উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, ওই সফরের সময়েও এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে আগেভাগে জানানোর জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ সংক্রান্ত ভারত সরকারের ১৪ সেপ্টেম্বরের আকস্মিক ঘোষণা বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে ২০১৯ ও ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত এ বিষয়ক আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিকে দুর্বল করে।
দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও সমঝোতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি পুনরায় শুরু করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ওপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরতে ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশের বাজারে দাম বাড়াতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। এরপর একদিনেই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। আগের দিন ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ মঙ্গলবার এক লাফেই ১০০ টাকা হয়ে যায়।
Leave a Reply