গত ২৭/০৮/২০২০ইং তারিখে প্রকাশিত বিভিন্ন অনলাইন ও জাতীয় পত্রিকা ইত্তেফাক এবং বরিশালের বিভিন্ন আঞ্চলিক পত্রিকায় মুলাদী উপজেলা চেয়ারম্যান মিঠু’র হাতে সংবাদকর্র্র্মী লাঞ্চিত শিরোনামে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে তা আমার দৃষ্টি গোছর করা হয়েছে। আসলে ২৫ আগষ্ট মঙ্গলবার আমি দলীয় প্রোগ্রামের উদ্যোশে আমার সাথে থাকা সফর সঙ্গী প্রায় ২০/২৫টি মাটর সাইকেল যোগে যাওয়ার পথে দুপুর ২ টায় মুলাদী সিনেমা হল রোডে দুর্ঘটনার স্বীকার হই। দুর্ঘটনায় প্রায় ৪টি মটর সাইকেল ট্রাকের নিচে পরে পিষ্ট হয়। দুর্ঘটনায় ড্রাইভার পালিয়ে যাওয়ার পথে জনগনের হাত আটক হয়। পরে উত্তেজিত পথচারী জনতা ট্রাক চালককে ঘিরে ফেলে, আমি তাকে রক্ষা করি এবং মুলাদী থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ এসে ট্রাক সহ ড্রাইভারকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যান। সংবাদে যে মোবাইলের কথা বলা হয়েছে তা আমি দুঘর্টনায় একপথচারী অতি উৎসাহীত হয়ে দুর্ঘটনার বিষয় অনুধাবন না করে আনন্দের সহিত দুর্ঘটনার ভিডিও ধারন করিতে ছিল যার নাম আলমগীর। আলমগীর ভিডিও ধারন করা উত্তেজিত জনগন দেখে ফেললে তাৎক্ষনিক আমি আলমগীরকে রক্ষার্থে ধমক দিয়ে তার মোবাইলটি নিয়ে পাশে থাকা মনিকা মিষ্টান্ন ভান্ডারে মালিকের ছেলে আসাদুলের কাছে মোবাইলটি রেখে দেই এবং গত ২৬/০৮/২০২০ই তারিখ সকালে আসাদুল তার মামা সাংবাদিক রেজা হাওলাদার মাধ্যমে মোবাইলটি ব্যবহারকারী আলমগীরকে দিয়ে দেয়। এ বিষয়ে আমার কাছে কোন সাংবাদিক মোবাইল ফোন করেনি। যেহেতু মোবাইলটি যার মনিকা মিষ্টান্ন ভান্ডারের ছেলে তাকে দিয়েছে। আর আমার ছেলেরা মোবাইলের পরিবর্তে টাকা চাওয়ার প্রশ্ন উঠে না। আমি সাংবাদিক পরিচয়দানকারী সেলিম রারীর কাছে তার পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে সেলিম দেখাতে পারে নি। পরে তাকে বসিয়ে রাখি। তার পরে বরিশালের সমকাল পত্রিকার বুরো প্রধান পুলক চ্যাটার্জীকে বিষয়টি অবহিত করি, প্রতি উত্তরে পুলক চ্যাটার্জী আমাকে বলেন হিজলা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতিকে খবর দিয়ে এনে বিষয়টি অবহিত করতে বলেন, আমি সংবাদ দিলে হিজলা প্রেসক্লাব সভাপতি রাত অনুমানিক ৯টায় মুলাদী উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি অবগত হন, উপরোক্ত বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন, পরবর্তীতে হিজলা প্রেসক্লাবের মিটিংয়ে সেলিম রারী বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে, আমার কাছ সেলিম রারীকে সাথে নিয়ে চলে যান। সাংবাদিক লাঞ্চিত হওয়ার কথাটাও মিথ্যা ও বানোয়াট, আমি সংবাদের তীব্রনিন্ধা করছি। একটি কুচক্রী মহল আমার রাজনৈতিক সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য সাংবাদিক ভাইদের ভুলতথ্য দিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করিয়াছে তাহা মিথ্যা ও ভীতিহীন। আমি উক্ত সংবাদের তীব্রনিন্ধা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
Leave a Reply