বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানাধীন ,মধ্য ভঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা জাকির সরদারের ছেলে সোহাগকে, পাওনা টাকা চাওয়ায় ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে, একেই গ্রামের বাসিন্দা স্বপন সরদারের স্ত্রী কাজল বেগমের বিরুদ্ধে, স্থানীয় সূত্র জানা গেছে যে , সোহাগের পরিবার , কাজল আক্তারের কাছে পাওনা টাকা চাইলে‌, পরিকল্পিতভাবে টাকা না দেওয়ার ফন্দি করে কাজিরহাট থানায় প্রথমে একটি মারামারি ঘটনার অভিযোগ দায়ের করে পরে আবার, একটি কুচক্র মহলের পরামর্শ নিয়ে জাকির সরদারের পুত্র সোহাগ সরদারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে, ভুক্তভোগীরা বলেন ,বেশ কিছু মানুষের কাছ থেকে স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে টাকা নেওয়ার প্রমাণ জাকির সরদারের কাছে রয়েছে এছাড়াও সোহাগের মামা হারুন- চৌকিদার বলেন তার ভগ্নিপতির কাছ থেকে কাজল বেগম ও তার স্বামী এ পর্যন্ত প্রায় দুই থেকে তিন লাখ টাকা হাওলাত নিয়েছে। আরো জানা যায় জাকির সরদারের বোন আলেয়া বেগম ও রশিদা আক্তার এর কাছ থেকে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা ঋণ নেয় তারা বলেন পাওনা টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও তাল বাহানা করেন। ওই গ্রামের বাসিন্দা মৃতঃ আব্দুল হাফেজ খানের ছেলে সুমন খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে বলেন যে সোহাগ সরদারের কাছে টাকার লেনদেন রয়েছে কাজল বেগমে ৭ নং ওয়ার্ড জনপ্রতিনিধি মোঃ দুলাল মোল্লা বলেন টাকা পয়সা লেনদেন নিয়ে জামেলা সৃষ্টি হওয়ার সময় বাড়িতে সালিশ বসানোর কথা ছিল কিন্তু কাজল বেগম সালিশ অমান্য করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মুলাদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে কাজীরাট থানায় একটি অভিযোগসহ মামলা দায়ের করে একই গ্রামের আরো কিছু লোকজনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান কাজল নামের ওই মহিলা অত্যন্ত দুরন্দর দুশচরিত্রের ।ওর কাছে এ ধরনের ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার তারা আরও বলেন যে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি কাজল মুন্সিগঞ্জ থাকাকালীন সময়েও বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অনেক টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে স্বপন সরদারের সাথে পালিয়ে এসে এই এলাকায় বসবাস শুরু করে ওর বহুরূপী আচরণ দিয়ে ওই এলাকায় সহজেই মানুষের সাথে মিশে যায় এবং বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ধার দেনা শুরু করে দারের টাকা ওয়াদা মতো না দিতে পারলে পাওনাদাররা টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে ‌ কাজল বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে। এ বিষয়ে কাজিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ জুবাইর আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে মারামারির অভিযোগ সহ ধর্ষণ মামলা হওয়ার বিষয় স্বীকার করেছে ।