ডেস্ক নিউজ: বরিশালের হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়ীয়া ইউনিয়নের মাসকাটা গ্রামে নিজাম সরদারের স্ত্রী লিপি’কে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে।
গত কাল সোম বার ১৩ তারিখ রাতে আনুমানিক ১২ টার দিকে নিজাম সরদারের বসত বাড়িতে লিপি বেগম ধর্ষনের সিকার হন। স্থানীয় সূত্রে জানা জায় ধর্ষন কারী একই গ্রামের রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে ফারুক হাওলাদার আনুমানিক (৩০)।
ফারুক হাওলাদার লিপি বেগম কে গত ৮ বছর ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে, প্রায়ই লিপি বেগম কে ফারুক হাং মুঠো ফোনে বিভিন্ন ধরনের ভয় ভিতিসহ নানান ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেয় অতপর তার প্রস্তাবে রাজি না হলে লিপি বেগমের এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তান সহ তাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
প্রানের ভয়ে লিপি বেগম ফারুক হাওলাদারের প্রস্তাব মেনে নিতে বাধ্য হন। বিগত এক বছর পূর্বে নিজাম সরদারের ঘরে ফারুক দরজা খুলে লিপি বগমের সাথে কু-কর্ম করতে গেলে সেখানে এলাকার কিছু লোকজোন হাতে নাতে ধরে কিন্তু অর্থের বিনিময়ে ফারুক পারপেয়ে যায় ও ফারুকের পরিবার এক পর্যায়ে লিপি বেগমকে ঘটনাটি ধামা-চাপা দেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রলভন দেখায়।
নিজাম সরদার এই বিষয়ে জানতে পেরে লিপি বেগম’কে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে চাননি, ফারুকের মা বলেন লিপি বেগম’কে তার পুত্র বধূ করে আনবে করে আস্বাস দেয়, কিছুদিন অতিবাহিত হলে ভূলে জান সেসব কথা।
লিপি বেগম অসহায় হয়ে বাবার বাড়ি চলে গেলে নিজামের হাত পা ধরে ক্ষমা চেয়ে স্বামীর ঘরে লিপি বেগম আবার ফিরে আসেন। লিপি বেগম বলেন বখাটে ফারুক আবারও বিভিন্ন ধরনের পায়তারা শুরু করে, এক পর্যায়ে ফারুক লিপি বেগমের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে বার বার ফোন দিয়ে লিপির মন গলানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে লিপি বেগম ফারুকের ফোনে কোন প্রকার সাড়া দিতে না চাইলে সন্তান সহ লিপেকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
লিপি বেগম ফারুককে জোর অনুরোধ করে বলে দয়া করে আপনি আমার স্বামীর ঘর ভেঙ্গে দিবেন না, আমার দুটি সন্তান রয়েছে, জবাবে ফারুক বলে ওয়াদা দিলাম তোমার স্বামী তোমাকে মেনে না নিলে আমি তোমাকে সন্তান সহ স্ত্রী হিসেবে মেনে নিব। তার পরও লিপি বেগম কোন প্রকার তাকে প্রসয় দেননি। লিপি বেগমের ফারুক ফোন দিয়ে জানতে চায় তার স্বামী বাড়ি থেকে কর্মস্থলে কবে যাবে সুযোগের অপেক্ষায় ১২ তারিখ ভোলার উদ্দেশ্যে নিজাম চলে গেলে ফারুক সেই সুযোগে গভির রাতে লিপির ঘরের দরজা নক এবং বলে জরুরী কথা আছে অতপর আমি ঘরের বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে সৎ নিয়তে দরজা খুলতেই ফারুক সহ তার সহযোগী (৩৭) ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে, সহযোগী পাহারায় থাকিলে ফারুক অপকর্মে লিপ্ত হয়, লিপি বলে শেষে ফারুকের সহযোগী মুখ চেপে ধরে অপকর্ম করার চেষ্টা চালায় এক পর্যায়ে লিপি জোরাজুরি করে তার হাত মুখ থেকে শরিয়ে চিৎকার করিলে আমার প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে।
এই বিষয়ে লিপি বেগম বাচার তাগিদে প্রসাশনের সরনাপর্ন্য হয়ে সুপরামর্শ মোতাবেক হিজলা থানায় লিপি নিজে বাদী হয়ে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply