বরিশালের হিজলা উপজেলার কাউরিয়া সহ নরসিংহপুরে দেখা দিয়েছে রাজন ওরফে গুটি রাজন নামের কিশোর গ্যাং। এই (রাজন কিশোর ) গ্যাংটির পিছনে রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়া। প্রসাশনের চোখকে ফাকি দিয়ে নানা সময়ে বড় ধরনের অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে এই কিশোর গ্যাংটি। ছিনতাই, মোবাইলের দোকানে চুরি থেকে শুরু করে দিন দিন জরাচ্ছে বড় ধরনের অপরাধে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গুটি রাজন হিজলা থেকে ঢাকা পালিয়ে যায়। বেশকিছুদিন আত্নগোপনে থেকে ঢাকায় বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সঙ্গতা তৈরি হয়, পরে আবার হিজলা উপজেলার নরসিংহপুর গ্রামে চলে আসে।
স্থানীয় সূত্রে যানা গেছে রাজনের পিত্রি পরিচয় নেই এবং একাধিক বিয়ের পরে তার মা এখন দেশের বাহিরে অবস্থান করছে। তবে আরো জানা গেছে হোসেন চৌকিদার নামক তার একজন পালক পিতা রয়েছে রাজন তাকেই বাবা বলে সম্মধন করে। তাদের কারনেই রাজন থেকে গুটি রাজনে পরিনত হয়। যানা যায় গুটি রাজন ঢাকা থেকে এপর্যন্ত তিনটি মাদকের চালান এনে হিজলায় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করে, প্রসাশনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়েই দিন দিন বেড়ে উঠছে কিশোর গ্যাং এর অপরাধ।
রাজনের ব্যবসায়ী পার্টনার একেই গ্রামের পরেশ দাসের ছেলে ”সুভ্র দাস”, সুত্র জানায় কয়েক মাস পূর্বেই গুটি রাজন ঢাকা থেকে পিস্তল নিয়ে আসে। এবং সেই পিস্তল সুভ্রদাসকে দেখালে সুভ্র দাস আবার একই গ্রামের অন্য একজনের সাথে বিষয়টি বালা-বলি করে।
অন্য একটি সুত্র ঘটনাটি যানতে পারলে, তৎকালীন সময় দায়িত্বে থাকা সহকারী পুলিশ সুপার জনাব, মোহাম্মদ ”আনিচুল হক’কে জানানো হয়। গুটি রাজনের আতঙ্কে এলাকার সাধারন মানুষের মাঝে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। কোথায় তার খুটির জোর, বিভিন্ন সময়ে এলাকার মানুষকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি প্রদান করে থাকে। গুটি রাজন আরো বলে তার বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বললে বালিশ ছাড়া ঘুম পড়িয়ে দিবে। মানুষ মারতে তার হাত কাপবে না।
Leave a Reply