বরিশালের হিজলা উপজেলায় এবার চট্রগ্রামের মতো দেখা দিয়েছে ভন্ড ফকিরের আস্থানা। ধোকার ফাদে সাধারন মানুষ রাস্তায় দারালে দেখা যায় রোগীদের আনাগোনা, অনেকের সাথে কথা বললে জানায় নিঃস্ব করে দেয়ার অভিযোগ। আবার অনেকে ফকিরের ভয়ে মুখ খুলছেনা যদি আবার ফকির ক্ষতি করে তা না হলে ফকিরের লোকেরা যদি কিছু বলে । এলাকা সূত্রে যানা যায় ভন্ড ফকির গড়ে উঠার পেছনে রয়েছে প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়া।
এই প্রতারনার বানিজ্য হিজলা উপজেলার খুন্না গবিন্দপুরের বাসিন্দা এক রিক্সা চালক এখন হালিম ফকির নামে পরিচিত। সে নাকি এখন সকল রোগের চিকিৎসা করে, প্রসাশনের চোখ ফাকি দিয়ে চলছে এই ধোকা বাজি। তথ্য সংগ্রহ করতে সংবাদ কর্মীরা গেলে মুহুর্তেই এলাকার প্রভাবশালীদের কাছে ফোন করেন ভন্ড ফকিরের মাসিক বেতন করা লোকেরা। ভন্ড ফকিরের আস্তানায় যাওয়ার রাস্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে সেট করা থাকে তার লোক। প্রসাশন বা সংবাদ কর্মীরা যাওয়ার আগেই বলে দেয়। ভন্ড ফকিরের মুখে থাকেনা আল্লাহর নাম, বলে নাস্তিক্যবাদ কথা বার্তা পানি পড়া আর লাল কলম দিয়ে লেখা আকা জোকা তাবিজ দিলে নাকি নিসন্তানী নারীর সন্তান হয়। বড় বড় জটিল রোগের চিকিৎসা করে আর হাতিয়ে নেয় অসহায় মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা। ভিডিও লিঙ্ক
ভন্ড ফকিরের ধোকা বাজির টাকার একাংশ মাস শেষে চলে যায় প্রভাব শালীদের হাতে। তাই সেই প্রভাবশালীরা সংবাদকর্মীদের সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেয় ও স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের রাস্তায় পেলে উচ্চস্বরে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে থাকে ভন্ড ফকিরকে প্রশ্রয়দানকারী প্রভাবশালীরা। আর ফকিরের আস্তানায় গেলে দেখা যায় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মোববাতি জ্বালানোর পাহাড়। স্থানীয় সূত্রে আরো জানায় রাতারাতি সেই রিক্সা চালক এখন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক, তাছাড়াও পুড়াতন কাঠের ঘর এখন দেয়ালের ঘরে পরিনত, অসহায় মানুষের ধোকার টাকায় এখন তাও এলাকার প্রভাবশালীদের কারনে।
সহকারী পুলিশ সুপার জনাব, মতিয়ুর রহমান ও হিজলা থানা ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা অসিম কুমার সিকদার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভন্ড ফকিরের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply