বরিশালের হিজলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, মেঘনার পানি তিন থেকে চার ফুট বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের ঘর-বাড়ি,স্কুল- মাদ্রাসা, হাট-বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার ফসলিজমি।
উল্লেখযোগ্য,পুরাতন হিজলা, বাউশিয়া, গুয়াবাড়িয়া,হরিনাথপুর, ধুলখোলা ইউনিয়নের আলীগঞ্জ বাজারসহ কয়েকটি গ্রাম, হিজলা গৌরবদীর একতা বাজার, মান্দ্রা চরকুশুরিয়া, পিটকিরা তলা, সাওরা সৈয়দখালিসহ আরো অনেক এলাকা, মেমানিয়া ইউনিয়নের প্রায় সকল এলাকা, স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে, পুকুর তলিয়ে মাছ চাষিদের ক্ষতির সম্মুখিন, ডুবে গেছে পান চাষিদের পানের বরজ।
ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ভেরি বাদ ও রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার। হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়নের হিজলা গৌরবদী ইউপি চেয়ারম্যান জনাব, নজরুল ইসলাম মিলন আলাউদ্দিন ক্রাইম জনতাকে জানান, হিজলা গৌরবদী বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ৫০-৬০ গবাদী পশু নিখোজ রয়েছে ভেষে গেছে বেশ কয়েটি ছাগল। হঠাত করেই পানি বৃদ্ধি হওয়ার কারনে ঘর থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ না পাওয়ার কারনে পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে গ্রাম বাসি। ইউপি চেয়ারম্যান মিলন এলাকার পানি বন্ধি মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরন করেছেন।
মান্দ্রাবাজার এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন আমাদের এলাকা নিচু হওয়ার কারনে প্রায় ৩ থেকে ৪ ফুট উঁচু হয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে, মানুষের ঘরে খাটের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারন মানুষ।একতা, দেবুয়া ও চরকিল্লা থেকে জানা যায় এখানকার প্রায় সকল মানুষই কৃষক, হঠাৎ উঁচু হয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় এবং আবাদি ফসলের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে তাই কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ধুলখোলা ইউনিয়ন নিচু হওয়ায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারন কৃষক। এলাকায় হঠাৎ উঁচু হয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় এবং আবাদি ফসলের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে তাই কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।হিজলা কৃষি অফিস সূ্ত্রে জানা যায় হিজলা উপজেলায় হঠাৎ উঁচু হয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় বিভিন্ন কৃষি সরঞ্জাম পানিতে ভেসে যায় এবং আবাদি ফসলের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে তাই কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকার ব্যবসায়ী সহ সকল পেশার মানুষ।।
Leave a Reply