হিজলা প্রতিনিধি: বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের সেকান্দার সরদারের ছেলে বহুরূপী প্রতারক শাহে আলমের প্রতারণায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একের পর নিঃস্ব হচ্ছে একেক পরিবার। শাহে আলম পরিচয় ঢাকার একটি এতিমখানা থেকে বড় হওয়া। প্রতারণার শিকার ভুক্তভ’গী রফিকুল ইসলাম সরদার জানায় শাহে আলম রিয়াদ কোন একজনের ছত্রশায় তিনি নিত্য অঙ্গনে প্রবেশ করে হয়ে যায় নিত্য শিল্পী। এক পর্যায়ে নিত্য শিল্পীদের সাথে মাঝে মধ্যে তিনিও ছুটে যায় বিদেশে। খুলে যায় ভাগ্যের চাকা। সে থেকে পরিচয় হয় নারী পাচারকারীদের সাথে। সে থেকে তাকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি, এই শাহে আলমের। ঢাকায় প্রথমে আরামবাগ এলাকায় এবং বর্তমানে মিরপুর এলাকায় অবৈধ ব্যবসা বৈধ করার ডাল হিসেবে মিরপুরে হোলি ভিশন নামক পাঁচটি কিন্টার গার্ডেন খুলে সেখানে প্রতিটা প্রতিষ্ঠানে অংশিদার নিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। বাংলাদেশের আলোচিত নারী পাচারকারীর অন্যতম হোতা সোহাগকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করলে প্রতারক শাহে আলম ও চলেযায় আত্মগোপনে বরিশালের হিজলা উপজেলায় এসে অবস্থান নিয়ে মরহুম মেজর আফসার উদ্দীনের ছেলে সাহারিয়ারকে একটি হসপিটাল করে অংশিদার করার কথা বলে জমি লিখে নেয়। গত ১ বছর পূর্বে চালু হওয়া সেই ভিশন কেয়ার হসপিটাল এন্ড ডায়াগন্টিক সেন্টার এর অংশিদার করে বড়জালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহানশা চৌধুরী সামু, রফিক সরদার ও জাহাঙ্গীর হোসেন। হাসপাতালের মেশিনারির যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য অংশিদারদের দের কাছ থেকে দেড় কোটি টাকার ভাউচার প্রদান করে টাকা নিয়ে নেয় ঐ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহে আলম রিয়াদ। পার্টনাররা কোম্পানির সাথে খোঁজ খবর নিয়ে দেখে সেখানে মাত্র ৩৪ লক্ষ টাকার মালামাল ক্রয় করেছে এছাড়াও ক্রয় কথা ছিল সিটি স্ক্যান মেশিন তাও ক্রয় করেনি। এ বিষয় নিয়ে পার্টনারদের সাথে দেন দরবার হয় একপর্যায়ে মুলাদী ফেয়ার কিনিক এর চেয়ারম্যান এর সমন্বয়ে স্থানীয় ভাবে শালিশের মাধ্যমে সমঝোতার চেষ্টা করলে প্রতারক শাহে আলম সদ উত্তর দিতে না পেরে তিনি চলে যান আত্মগোপনে। ভিশন কেয়ার হসপিটাল এন্ড ডায়াগন্টিক সেন্টার এর পরিচালক শাহানশা চৌধুরী সামু জানায়, প্রতিষ্ঠানের জন্য যে সকল যন্ত্রপাতি ক্রয় করা জন্য প্রত্যেক অংশিদার মিলে প্রায় দেড় কোটি টাকা দেয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক পরিচালক শাহে আলম রিয়াদ এর নিকট কিন্তু শাহে আলম মৌখিকভাবে জানান সব টাকারই যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন তারা নগদ টাকা দিয়েছে শাহে আলম কে কিন্তু সে বাকি টাকায় মালামাল ক্রয় করে। মেশিনারী মালামাল ক্রয়কৃত কোম্পানি গুলোর মধ্যে বায়োমেট্রিক কোম্পানি সহ কয়েকটি কোম্পানির লোকজন এসেছে টাকার জন্য তারা জানিয়েছে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা পাবে। শাহে আলম রিয়াদ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তিনি বলে আমিওতো সাংবাদিক আপনারা কি লিখবেন আমি এটিএন বাংলা এবং বিটিভি ডিরেক্টর হিসেবে আছি। পুলিশ কলেজের টিচার। হসপিটালে লটকানো রয়েছে শাহে আলম এর সাথে সাবেক আইজি শহীদুল হক এর ছবি, ইউনেস্কোর সদস্য একটি সাইবোর্ড লোগানো। এই শাহে আলম রিয়াদ একেক সময় একেক পরিচয় দেয়, এব মধ্যে তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাও দাবী করেন তিনি।
Leave a Reply