প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বহু বছর পর অথনৈতিক মন্দার মুখে পড়েছে জাপান।
বিবিসি জানিয়েছে, ২০১৫ সালের পর জাপান এই প্রথম মন্দার মুখে পড়তে যাচ্ছে। দেশটির জিডিপি সংকুচিত হয়েছে ৩.৪ শতাংশ।
করোনাভাইরাসের এই সংক্রমণ জাপানের ব্যবসা ও ভোক্তাদের মধ্যে ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভবিষ্যৎ এখন পর্যন্ত খুব ইতিবাচক দেখাচ্ছে না।
করোনাভাইরাস রোধে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত জরুরি অবস্থা বলবৎ রাখার ঘোষণা দিয়েছে জাপান সরকার।
কোভিড ১৯-এ এখন পর্যন্ত জাপানে ১৭ হাজারের মতো মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৭০০-এর ওপরে মানুষ।
জাপানে ষাটোর্ধ্ব মানুষের সংখ্যা অন্য দেশগুলোর তুলনায় বেশি হওয়ায় করোনাভাইরাস ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন। দেশটির জনসংখ্যার ২৬ দশমিক ৭ শতাংশেরই বয়স ৬৫ বছরের বেশি।
আগামী জুলাই মাসে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় চোখের টিকার ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী সিনজো অ্যাবে।
ইতিমধ্যে দেশের বাইরে ভ্যাকসিন পরীক্ষা শুরু হয়েছে উল্লেখ করে অ্যাবে বলেন, আমি আশা করছি বিশ্বে অভিজ্ঞদের মাধ্যমে টিকা দ্রুতই পাওয়া সম্ভব হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, চলতি মাসের শেষের দিকে করোনার চিকিৎসার জন্য সরকার এন্টি-ফ্লু ড্রাগ অ্যাভিগান অনুমোদন দেবে।
Leave a Reply