নিহত রুঞ্জু (৪৫) ওই গ্রামের শুকবর আলী মণ্ডলের ছেলে। তিনি স্থানীয় রাতোয়াল বাজারে ধান, চাল, সার ও তেলের ব্যবসা করতেন।
রুমি সাংবাদিকদের বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়ার পর অনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে মুখোশধারী এক যুবক বাড়ির পাশে লাগানো গোয়াল ঘরের টিন কেটে রান্নাঘরে প্রবেশ করে পানির মোটর চালু করে। আমার নানা শব্দ পেয়ে আমার মাকে ডেকে মোটর বন্ধ করতে বলেন।
“এ সময় আমার বাবা উঠে মোটর বন্ধ করার জন্য রান্না ঘরের দরজা খোলা মাত্রই মুখোশধারী ওই যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার বাবাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সময় আমার মা এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে আমরা সবাই এগিয়ে গেলে হামলাকারী গোয়াল ঘরের দরজা খুলে পালিয়ে যায় “
পরে আহত রুঞ্জুকে উদ্ধার করে প্রথমে নওগাঁ ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানান রুমি।
তবে ওই হামলাকারী হত্যার উদ্দেশ্যে নাকি তার বাড়িতে ডাকাতির কোন পরিকল্পনা ছিল এবং হামলাকারীর সঙ্গে সহযোহীতায় আর কেউ ছিল তা জানাতে পারেন নি রুমি।
এ বিষয়ে রাণীনগর থানার ওসি জহুরুল হক বলেন, “ডাকাতি বা লুটপাটের জন্য এ ঘটনা ঘটেছে, এমন কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে যে ব্যক্তি এ ঘটনা ঘটিয়েছে- ওই বাড়িতে তার আগে থেকেই যাতায়াত ছিল। পূর্ব কোন শত্রুতার জের এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ।”
বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় রাণীনগর থানায় হ মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা।
Leave a Reply