“গতকাল চট্টগ্রামে রোডমার্চ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সরকারকে দেওয়া ১৮ তারিখের আলটিমেটাম কোন বছরের সেটি অনেকে প্রশ্ন রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে একুশে পত্রিকার সদ্যপ্রয়াত সম্পাদক আজাদ তালুকদার স্মরণে দোয়া মাহফিল ও শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রামে রোডমার্চ শেষে বিএনপি সরকারকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছে- এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ রকম আলটিমেটাম তো বিএনপি গত ১৩-১৪ বছরে বহুবার দিয়েছে। গত ডিসেম্বরেও তাদের আলটিমেটাম ছিল, তারপর খালেদা জিয়াকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশ পাঠানোর আলটিমেটামও ছিল। এখন ১৮ তারিখ আবার আলটিমেটাম দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই আলটিমেটাম কি এ বছরের ১৮ তারিখ নাকি আগামী বছরের ১৮ তারিখ, নাকি তারও পরের বছরের ১৮ তারিখ সেটিও অনেকে প্রশ্ন রেখেছে। বিএনপির আলটিমেটাম ফাঁকা গ লি ছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়।’
হাছান মাহমুদ বলেন, যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কেউ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালালে দেশের মানুষ তা প্রতিহত করবে। একইভাবে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার প্রক্রিয়া কখনো বিদেশিরাও সমর্থন করে না।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব বলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে না, এতেই প্রমাণিত হয় তারা নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে। কারণ তাদের কর্মসূচি ও সমাবেশগুলোতে মানুষ হচ্ছে না। ফলে তারা বুঝতে পেরেছে নির্বাচনে জয়লাভের সম্ভাবনা নাই। এ জন্য নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার পথে তারা হাঁটছে। কিন্তু সেটি এই দেশের মানুষ হতে দেবে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব চট্টগ্রামে রোডমার্চ শেষে বক্তব্য রাখার সময়ে সেখানে যে সংখ্যক মানুষ হয়েছে, চট্টগ্রামের লালদিঘির পাড়ে অনেক সময় যখন পাগল নাচে তখনও এর কাছাকাছি মানুষই হয়। সুতরাং কর্মসূচিতে লোক সমাগম সেভাবে না হওয়ায় তারা প্রচণ্ড হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।’
বিএনপি আশা করেছিল, বিদেশিরা তাদেরকে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে, সেই আশাও বুমেরাং হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সফর এবং জি-২০ সম্মেলনে জো বাইডেনসহ অন্যান্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর যে শুভেচ্ছা বিনিময় ও বৈঠক হয়েছে, এতেও বিএনপি হতাশ হয়ে পড়েছে।’
এর আগে শোকসভায় প্রয়াত একুশে পত্রিকা সম্পাদক আজাদ তালুকদারের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি যেমন অকুতোভয় সাংবাদিক ছিলেন, একই সঙ্গে তিনি একজন লড়াকু মানুষ ছিলেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার পর তিনি জানতেন, ধীরে ধীরে তার জীবন প্রদীপ নিভে যাচ্ছে। তিনি কিন্তু ক্ষান্ত হননি, দমে যাননি, অবিরত লড়াই করেছেন।
ড. হাছান মাহমুদ”
Leave a Reply