সারা পৃথিবী জানে, বেনজীর-আজিজদের গডফাদার কারা। এদের দিয়েই আওয়ামী লীগ টানা তিন বার ক্ষমতা দখল করেছে। বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বেনজীর-আজিজদের মেগা দুর্নীতি, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে গণভোগান্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, ইন্টারপোলের লাল তালিকাভুক্ত মাফিয়া আনারই নাকি আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা। এদের দিয়েই এখন এ দলটা চলে। ভারতের নির্বাচনে জনগণের জয় হয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। সেখানে মানুষ ভোট দিতে পেরেছে। আমাদের দেশে আওয়ামী সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, কেয়ামতের দিন যেমন কেউ কাউকে চিনবে না, ইয়া নফসি ইয়া নফসি করবে। তেমনি এ সরকারও এখন নিজেদের লোকদের দায় অস্বীকার করছে। সরকারের মধ্যে ইয়া নফসি ইয়া নফসি শুরু হয়েছে। নিজেদের লোকরাও এ অবৈধ সরকারের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। ক্ষমতার খুঁটি নড়ে গেছে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আজিজকে সেনাপ্রধান বানিয়েছে, বেনজীরকে র্যাবের মহাপরিচালক ও আইজিপি বানিয়েছে। আর এখন বলছে ওরা আমাদের লোক না। সরকারকে বলি, জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় আছেন বলে সবাইকে বোকা ভাববেন না। এসব ধান্দা বাদ দিয়ে পদত্যাগ করেন। অর্থনীতি ধ্বংস করেছেন। সামনে আরও খারাপ সময় আসছে। ২০১৪, ১৮তে টিকে গেছেন। কিন্তু এ দফায় টিকতে পারবেন না।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ক্ষমতাসীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আজিজ, বেনজীররা হাজার হাজার কোটি টাকা বানিয়েছে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতেই সরকার তাদের ব্যবহার করেছে। এখন তাদের বিরুদ্ধে বিচারের নাটক করছে। আবার সরকারের যোগসাজশেই বেনজীর দেশ থেকে পালিয়েছেন। সরকারের মধ্যে আরও শত শত বেনজীর, আজিজ ও আনার আছে। এ সরকার ক্ষমতায় থাকলে এ রকম হাজার হাজার দুর্বৃত্তের জন্ম হবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।
Leave a Reply