গত ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ চীন উহান শহরে প্রাদুর্ভাবের কথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানানোর পর মে মাসের মাঝামাঝিতে গিয়ে বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৫ লাখে। এরপর মাত্র পাঁচ সপ্তাহে সংখ্যাটি দ্বিগুণ হলো।
এর মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই শনাক্ত হয়েছে ২২ লাখ বা ২৫ শতাংশ। দেশটিতে এখন নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
বিশ্বে এখন করোনাভাইরাসের বড় একটি ‘হটস্পট’ লাতিন আমেরিকা। বিশ্বের মোট আক্রান্তের ২৩ শতাংশই এই অঞ্চলে।
যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এ অঞ্চলের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ব্রাজিলে।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারত শনাক্তের সংখ্যার দিক দিয়ে রাশিয়াকে পেছনে ফেলে তালিকার তৃতীয় অবস্থানের দিকে এগোচ্ছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে সাত সপ্তাহে।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ। ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাসের পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকার পরও সরকারি হিসেবে ব্রাজিলে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫০ হাজার।
চীনের বেইজিংয়ে নতুন করে উপদ্রপ দেখা দেওয়ার পর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেবল রাজধানীতেই দিনে ১০ লাখ বাসিন্দাকে পরীক্ষা করার সামর্থ্য তাদের আছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ লাখ ৯৪ লাখ।
সাড়ে ১৬ কোটির বেশি জনসংখ্যার বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর এখন দিনে গড়ে মাত্র ১৫ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সরকারি হিসেবে সোমবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দেড় হাজার। আর শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি রোগী।
বাংলাদেশের মতো বিশ্বের অনেক দেশেই পর্যাপ্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় বিশ্বে করোনাভাইরাসে প্রকৃত আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
Leave a Reply