সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অন্ধ্র প্রদেশে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগী ও মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কুরিছেদু গ্রামটির অবস্থান প্রাকাসম জেলায়। জেলার পুলিশ প্রধান সিদ্ধার্থ কৌশল জানান, মদের দোকান খোলা না থাকায় কুরিছেদুর নেশায় আসক্ত বেশ কয়েকজন বাসিন্দা পানি ও কোমল পানীয় মিশিয়ে স্যানিটাইজার খেয়েছিলেন।
নিহতদের মধ্যে তিন ভিক্ষুকও আছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার। এদের মধ্যে দু’জন স্থানীয় একটি মন্দিরের চত্বরে ভিক্ষা করতেন।
বৃহস্পতিবার রাতে একসঙ্গে স্যানিটাইজার পানের সঙ্গে সঙ্গেই একজনের মৃত্যু হয়। অন্যজন পরে হাসপাতালে মারা যান।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন মদের সঙ্গে স্যানিটাইজার মিশিয়ে খেয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনিও। হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতে রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তার। শুক্রবার সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আরও ছ’জনকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে তাদেরও মৃত্যু হয়েছে।
“স্যানিটাইজারের সঙ্গে আরও বিষাক্ত কিছু ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে,” বলেছেন সিদ্ধার্থ।
রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য স্যানিটাইজারের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
“অ্যালকোহলে ভয়াবহ আসক্ত কয়েক ব্যক্তি নেশার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার পান করেন। লকডাউনের কারণে অ্যালকোহল সহজলভ্য না থাকলেও স্যানিটাইজার সহজেই পাওয়া যায়,” বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ভারতের বিভিন্ন এলাকায় সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেলেও অর্থনীতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এরই মধ্যে বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দিয়েছে।
অনেক রাজ্য সংক্রমণের ‘হটস্পটগুলোতে’ লকডাউন দিয়ে বাকি এলাকায় বিধিনিষেধ শিথিল করেছে।
Leave a Reply