আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভেনিজুয়েলার একটি কারাগারে দাঙ্গায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। কারাগারের গভর্নরসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। কারাগারে খাদ্য ও পানীয় সরবরাহে অপ্রতুলতা নিয়ে কয়েদিদের মধ্যে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ থেকে এই দাঙ্গা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভেনিজুয়েলার প্রিজন অবজারভেটরির। খবর দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসির।
গত শুক্রবার দেশটির রাজধানী কারাকাস থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরবর্তী পর্তুগুয়েসা রাজ্যের লস লিয়ানোস কারাগারে এ দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি পরে প্রকাশিত হয়।
ভেনিজুয়েলান প্রিজন অবজারভেটরি জানিয়েছে, সম্প্রতি করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে বাড়তি কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে দেশটির কারাগারগুলোতে। নতুন নিয়মে স্বজনরা কয়েদিদের খাবার সরবরাহ করতে পারেন না। এদিকে কয়েদিদের দাবি, কারাগার কর্তৃপক্ষ তাদের পর্যাপ্ত খাবার ও পানীয় দিতে পারছে না। এ নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বন্দিদের মধ্যে।
তবে কারা কর্তৃপক্ষের দাবি, বন্দিরা জেল ভেঙে পালানোর চেষ্টা করছিল। এতে বাধা দিয়ে দাঙ্গা বেধে দেয়। এ ঘটনায় কারাগারের বেশ কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মীসহ গভর্নরও আহত হয়েছেন।
ভেনিজুয়েলার কারামন্ত্রী আইরিস ভ্যারেলা গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, কারাগারটিতে একটা ‘ঘটনা’ ঘটেছে। তবে এতে কতজন মারা গেছেন তা নিশ্চিত করেননি তিনি।
করোনা মহামারীর পাশাপাশি লাতিন আমেরিকার দেশটিতে সম্প্রতি রাজনৈতিক সংকটও শুরু হচ্ছে। বেশ কিছু দিন থেকেই প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর শাসনামলে ভেনিজুয়েলার অর্থনীতি একেবারে ভেঙে পড়েছে। লাখ লাখ মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, ভেনিজুয়েলায় এ পর্যন্ত ৩৪৫ জনের শরীরে ধরা পড়েছে কোভিড-১৯। মারা গেছেন অন্তত ১০ জন।
Leave a Reply