বেতনবৈষম্য নিরসন ও চাকরি জাতীয়করণসহ তিন দফা দাবিতে মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি-কাম-প্রহরীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৭ হাজার দফতরি-কাম-প্রহরী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সরকারি বিদ্যালয়ে চাকরি করেও তারা ন্যায্য বেতনভাতা পাচ্ছেন না। তাদের অমানবিকভাবে দিনে দাফতরিক কাজ ও রাতে প্রহরার দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। ২০১৩ সালে এ পদে নিয়োগের পর থেকে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না। তাই তারা তিন দফা দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ঘেরাও করেছেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক দাবিগুলোর বিষয়ে বলেন, পদ জাতীয়করণ, ৮ ঘণ্টা কর্মঘণ্টা নির্ধারণ ও বেতনবৈষম্য নিরসনের দাবিতে অন্তত ১০ হাজার দফতরি-কাম-প্রহরী বিক্ষোভ করছেন। দাবি মানা না পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ চলবে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকেই মিরপুরের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সামনের সড়কে অবস্থান করছেন দফতরিরা। তারা বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে আছেন। এ কারণে মিরপুর-১ থেকে ১০ নম্বর পর্যন্ত দুই পাশের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পুলিশ রাস্তা অবরোধ তুলে নেয়ার জন্য অনুরোধ জানালের দফতরি কাম প্রহরীরা সড়ক অবরোধ করে দাবি আদায়ে স্লোগান দিতে থাকে।
এদিকে বিক্ষোভকারীরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পদস্থ কর্মকর্তাদের গাড়ি আটকে দিয়েছেন। তাদের অনেকে ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। তারা তিন দফা দাবিতে অবস্থান নিয়ে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন ও বিক্ষোভ করছেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, দফতরি-কাম-প্রহরী পদটি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর, হাইকোর্টে দাখিলকৃত অধিদফতরের দেয়া জবাব মোতাবেক কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, বেতনবৈষম্য নিরসন, কাজের ধরন নির্ধারণ এবং অবিলম্বে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের জন্য সারাদেশ থেকে একত্রিত হয়ে অধিদফতরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
একজন আন্দোলনকারী বলেন, আমাদের কোনো সাপ্তাহিক ছুটি নেই, নানাবিধ সমস্যার কারণ এবং চাকরি জাতীয়করণের জন্য ২০১৭ সালে উচ্চআদালতে রিট পিটিশন করি। চলতি বছরের ৩০ জুলাই আদালতের রায় আমাদের পক্ষে এলেও এ বিষয়ে অধিদফতর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা বাধ্য হয়ে দেশের সব জেলা থেকে দফতরি-কাম-প্রহরী একত্রে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।
Leave a Reply