মুলাদী প্রতিনিধি: রেজা হাওলাদার : মুলাদীতে বেপরোয়া গতির ট্রাকের ধাক্কায় ৪টি মটর সাইকেল ভস্মীভুত ও অল্পের জন্য বহু জীবন রক্ষা পেয়েছে বলে জানা যায়। ঘটনাস্থল ঘুরে জানা যায় ২৫ আগষ্ট মঙ্গলবার বেলা ২ টায় মুলাদী সিনেমা হল রোড এলাকায় এ দুঘর্টনা ঘটে। এ দুঘর্টনায় প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান মুলাদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিঠু খান দলীয় প্রোগ্রামের উদ্যোশে তিনি সহ তার সফর সঙ্গী প্রায় ২০/২৫টি মাটর সাইকেল যোগে যাওয়ার পথে দুপুর ২ টায় মুলাদী সিনেমা হল রোডে দুর্ঘটনার স্বীকার হন। দুর্ঘটনায় প্রায় ৪টি মটর সাইকেল ট্রাকের নিচে পরে পিষ্ট হয়। দুর্ঘটনার পরে ড্রাইভার পালিয়ে যাওয়ার পথে জনগনের হাত আটক হয়। পরে উত্তেজিত পথচারীরা ট্রাকের চালককে উত্তম মাধ্যম দিতে গেলে উপজেলা চেয়ারম্যান তাকে রক্ষা করে এবং মুলাদী থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ এসে ট্রাক সহ ড্রাইভারকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যান। ঘটনার ২ দিন পরে বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইন পোর্টালে শিরোনাম আসে সাংবাদিক লাঞ্চিত করার সংবাদ।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে আলমগীর নামক পথচারী অতি উৎসাহীত হয়ে দুর্ঘটনার বিষয় অনুধাবন না করে আনন্দের সহিত দুর্ঘটনার ভিডিও ধারন করিতে ছিল। আলমগীর ভিডিও ধারন করা উত্তেজিত জনগন দেখে ফেললে তাৎক্ষনিক উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীরকে রক্ষার্থে ধমক দিয়ে তার মোবাইলটি নিয়ে পাশে থাকা মনিকা মিষ্টান্ন ভান্ডারে মালিকের ছেলে আসাদুলের কাছে মোবাইলটি রেখে দেন এবং গত ২৬/০৮/২০২০ তারিখে আসাদুল তার মামা রেজা হাওলাদার মাধ্যমে মোবাইলটি হস্তান্তর করেন। এবিষয়ে পথচারী আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন
যে মোবাইল নিয়ে ঘটনা সেই মোবাইল টি কোন সাংবাদিকের নয় মোবাইলটি আমার। আমি তাৎক্ষনিক দুঘর্টনা সম্পর্কে অবগত না হয়ে ভুল বসত ভিডিও করি যা আমার ঠিক হয়নি। উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় আমাকে ভুল ধরিয়ে দেয়। যে হেতু বড় ধরনের এখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, আমার ভিডিও ধারন করা চেষ্টা ঠিক হয়নি। পরবর্তীতে আমি আমার মোবাইলটি মনিকা মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিকের ছেলে আসাদুল ভাইয়ের কাছ নিয়ে আসি। উক্ত মোবাইলের বিষয় নিয়ে হিজলার সাংবাদিক পরিচয়দানকারী সেলিম রারী সহ বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করেছে তা ভিত্তিহীন। প্রকাশিত সাংবাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমি উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়কে অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিভিন্ন সূত্রে থেকে জানা যায় যে হিজলা উপজেলার সাংবাদিক পরিচয়দানকারী এক পথচারী সেলিম রারী বিভিন্ন দুস্কৃতি মহল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে লোভের বসে সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় মুলাদী উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এসে উপজেলা চেয়ারম্যান তারিকুল হাসান মিঠু খানের কাছে দুপুরের মোবাইলের তুচ্ছ ঘর্টনার বিষয় জানতে চায় এবং উৎচোক দাবী করেন এবং মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করার হুমকী প্রদান করেন।
এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক উপজেলা চেয়ারম্যান মিঠু খান সাংবাদিক পরিচয়দানকারী সেলিম রারীর কাছে উপজেলা চেয়ারম্যান তার পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে সেলিম দেখাতে পারে নি। পরে তাকে বসিয়ে রেখে। উপজেলা চেয়ারম্যান বরিশালের সমকাল পত্রিকার বুরো প্রধান পুলক চ্যাটার্জীকে বিষয়টি অবহিত করেন, প্রতি উত্তরে পুলক চ্যাটার্জী উপজেলা চেয়ারম্যানকে বলেন হিজলা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতিকে খবর দিয়ে এনে বিষয়টি অবহিত কর, হিজলা প্রেসক্লাব সভাপতি রাত অনুমানিক ৯টায় মুলাদী উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিষটি অবগত হয়ে, উপরোক্ত বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন, পরবর্তীতে হিজলা প্রেসক্লাবের মিটিংয়ে সেলিম রারী বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে, মুলাদী উপজেলা চেয়ারম্যান এর কাছ সেলিম রারীকে সাথে নিয়ে চলে যান।
Leave a Reply