লামায় হতদরিদ্রদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন জেলা পরিষদ সদস্য ফাতেমা পারুল
মোঃ আবুল হাসেম লামা প্রতিনিধি: বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েপড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বাংলাদেশও
। ভাইরাসের প্রার্দুভাব রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। সব সড়কে যানবাহন চলাচলও বন্ধ। এর মধ্যে লামা উপজেলাকেও স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক অনির্দিষ্টকালের জন্য নকডাউন (তালাবদ্ধ) করা হয়েছে।
শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলও কার্যত ‘লকডাউন’ হয়ে আছে। এ অবস্থায় ঘর থেকে বের হতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এসব নিম্ন আয়ের ও হতদরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন হতদরিদ্রদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য ও লামা উপজেলা মহিলা আ,লীগের সভানেত্রী ফাতেমা পারুল।
জেলা পরিষদ সদস্য ফাতেমা পারুল জানান,
সরকারি এ সহায়তা পূর্ব তালিকা অনুযায়ী নয় বরং যারা এখন সবচেয়ে সংকটে আছে, তাদের দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউএনও,পৌরসভার মেয়র,দলীয় নেতা-কর্মীরা এবং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের সহায়তা নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই সাপেক্ষে সহায়তা তুলে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সরকারি বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই তারা হতদরিদ্রদের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিতে মাঠে নেমে পড়েছেন। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে তারা প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল, এক লিটার তেল এবং সাবান ও মাস্ক দিচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে হতদরিদ্র এবং নিম্ন আয়ের লোকদের তালিকা করা হয়েছে। সে তালিকা অনুসারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনিসহ জেলা পরিষদের ত্রাণ সহায়তা তুলে দিচ্ছেন। একই সঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে জনসচেতনামূলক প্রচারণাও চলমান আছে বলে জানান তিনি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে উপজেলার লোকজনকে বাড়িতে থাকতে বলা হচ্ছে। এতে দিনমজুর ও হতদরিদ্ররা সমস্যায় পড়েন। এ কারণে সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় বিত্তশালী এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে ক্যাম্পেইন চলমানও রয়েছে।
Leave a Reply