বেসরকারি স্কুল ও কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনে গঠিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ।
এমপিও নীতিমালা সংশোধন কমিটির সভায় উত্থাপিত সুপারিশ নিয়ে কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি ও নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেছেন, যথাযথভাবে কাজ করার পরও অভিজ্ঞতা না থাকলে একজন শিক্ষকের বেতন একধাপ নিচে দেওয়া অমানবিক। নন এমপিও প্রতিষ্ঠানের এমপিও যখনই হোক না কেন বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত হলে যোগদানের তারিখ থেকেই অভিজ্ঞতা গণনা উচিত। পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৫:২ অনুপাত মোটেই যৌক্তিক নয় বলেও তিনি মনে করেন।
ডলার আরও বলেন, প্রভাষকরা যোগদানের পরে ৮ (আট) বছর পূর্ণ করলেই তাকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পরবর্তী পদে (সহকারী অধ্যাপক) উন্নিত এবং পরবর্তী ৪ (চার) বছরে পরবর্তী স্তরে পদায়নের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে কমিটির প্রথম বৈঠকে। পদায়নের সাথে সাথে বিদ্যমান গ্রেডেও উন্নীত করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। চাকরি জীবনে ২টির স্থলে ৩টি টাইম স্কেল প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। শারীরিক সক্ষমতায় প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে আগামী সভায় আলোচনা হবে।
আগামী সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সভায় এমপিও নীতিমালার জনবল কাঠামো বিষয়টি বেশি গুরুত্ব পাবে।
Leave a Reply