সোমবার সকালে উভয় পারে সহস্রাধিক গাড়ি আটকা পড়ে জানিয়ে তিনি বলেন, “বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সারিও দীর্ঘ হয়। আমরা সার্ভিস সচল রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি। স্রোতের কারণে সব ফেরি চলতে না পারায় সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া ফেরিগুলো চলাচলে এখন সময় লাগছে দ্বিগুণ। তাই ট্রিপও কম হচ্ছে।”
প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দিনে কোনো রকমে কিছু ফেরি চালু থাকলেও রাতে বন্ধ থাকছে।
শফিকুল বলেন, এদিকে ফেরি চলচল সীমিত হওয়ায় চাপ পড়েছে লঞ্চ ও স্পিডবোটের ওপর। অনেকেই বিভিন্ন যানে ঘাটে এসে লঞ্চ ও স্পিডবোটে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। এই নৌপথে ৮৭টি লঞ্চ ও সাড়ে চারশ স্পিডবোট চলাচল করে থাকে।
স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই গাদাগাদি করে যাত্রী পার করছে লঞ্চ ও স্পিডবোট। উত্তাল পদ্মায় ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করেই চলছে এসব নৌযান।
২০১৪ সালের এই দিনে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে মাওয়া ঘাটের কাছে পদ্মায় পিনাক-৬ নামে একটি লঞ্চ ডুবে গেলে ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার হয়। ৬৩ জন এখনও নিখোঁজ। জীবিত উদ্ধার হয় ৮৯ জন। অনেক চেষ্টার পরও খোঁজ মেলেনি ডুবে যাওয়া পিনাকের।
Leave a Reply