শ্বাসকষ্ট নিয়ে পাঁচ দিন ঘুরে হাসপাতালে ঠাঁই হলেও আইসিইউ’র অভাবে চট্টগ্রামে মারা গেলেন এক সন্তানসম্ভবা নারী। 😢
ফাতেমা আক্তার মুক্তা (৩০) নামের এই নারীর বাড়ি চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট এলাকায়। দুই সন্তানের জননী ফাতেমাকে আজ বুধবার ফৌজদারহাটে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
মৃতের ছোট ভাই মেহেদি হাসান জনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তার বোনের শ্বাসকষ্ট ছিল। সন্তানধারণের সময় এ শ্বাসকষ্টটা দেখা দেয়। গত পাঁচ দিন ধরে এই শ্বাসকষ্টটা বেড়ে যাচ্ছিল।
‘আপুকে নেবুলাইজার দিয়ে আমরা হাসপাতাল খুঁজতে থাকি। কোথাও তাকে ভর্তি নেয়নি গত পাঁচ দিন ধরে। শেষ পর্যন্ত গতকাল মঙ্গলবার আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা আমাদের সারাদিন অপেক্ষায় রেখে বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করে’, বলেন জনি।
দুর্দশার বর্ণনা দিয়ে জনি বলেন, ‘চমেকে ভর্তি করানোর পর কোনো ডাক্তার আপুকে দেখতে আসেনি। আপুর অবস্থা খারাপ হতে থাকলে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতে পায়ে ধরেছি একটু দেখার জন্য। পরে তারা আপুকে আইসিইউতে নিয়ে যেতে বলেন।’
‘বুধবার রাতে আইসিইউতে নিয়ে গেলে তারা বলে কোন সীট নাই। এভাবে আমার বোন আমার চোখের সামনেই চলে গেল। এ দায় কে নেবে? এভাবে মৃত্যু কেউ কখনো মেনে নিতে পারে না’, যোগ করেন জনি।
জানতে চাইলে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা আছে মাত্র পাঁচটি। আর সেগুলোতে সবসময় রোগী থাকে। বিষয়টি এমন নয় যে আমাদের শয্যা খালি ছিল, কিন্তু আমরা দেইনি। আপনারা জানেন এখন আইসিইউ’র জন্য কি রকম চাপ। আমরা চেষ্টা করছি শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর জন্য। কিছু শয্যা বাড়াতে পারলে অন্তত কিছু মানুষের হলেও উপকার হবে।’
Leave a Reply