সচেতনতাই করোনাভাইরাস ঠেকানোর হাতিয়ার- সেলিম চৌধুরী
………………………………
পটিয়া প্রতিনিধিঃ-
দৈনিক জনতা পটিয়া/ চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ও পটিয়া প্রেসক্লাব অর্থ সম্পাদক সাংবাদিক সেলিম চৌধুরী বলেছেন, সাম্পতিক বিশ্বে সবচেয়ে ভয়াবহ মহাআতঙ্ক করোনাভাইরাস। যা সারা বিশ্ব থমকে দাঁড়াতে বাধ্য করেছে। চীনের উহান নগরি দিয়ে শুরু হওয়া এই ভাইরাস বিশ্বের ১৯৯ টি রাষ্ট্রে জেঁকে বসেছে। স্থবির হয়ে গেছে বিশ্ব অর্থনীতির চাকা। কোনো যুদ্ধ নয়, বিগ্রহ নয়, কোনো হানাহানি নয় তারপর ও নীরব, নিথর, নিস্তব্ধ পৃথিবী আজ। কোথাও নেই কোলাহল। কবরের নিস্তব্ধতা নেমে এসেছে বিশ্বব্যাপী। এতে কোনো আতঙ্ক নয় সচেতন হওয়া খুব জরুরি করোনাভাইরাস আতঙ্কে চীনের উহানসহ বিভিন্ন প্রদেশে বাংলাদেশের অনেক নাগরিকরা বসবাস করেন। চীনে উচ্চ শিক্ষা নিতে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পরবর্তী সময় বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় দেশে ফিরে এসেছেন। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। কোনোভাবে তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। তারপরও দেশের মধ্যে আতঙ্কে রয়েছে। এই আতঙ্কের কারণে দেশের বাইরে ভ্রমণে গিয়ে বিপদে পড়ছেন অনেক নাগরিক। তারা দেশে ফিরতে না পেরে মুঠোফোনে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। নেপালে যাওয়া বরিশালের দুই নাগরিক জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিমান তাদের ফ্লাইট বাতিল করায় তারা দুর্ভোগে পড়েছেন। তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নিজেদের অর্থে ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছেন।
আমরা মনে করি তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে করোনার প্রকোপ কমে আসবে। তারপরও সতর্ক থাকতে হবে। বৃদ্ধরা এই ভাইরাসের প্রভাবে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তারপরও এই মুহূর্তে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।হাসপাতালগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এই ভাইরাস বাংলাদেশে বিস্তার ঘটাতে পারে। তাই আমাদের সতর্ক হতে হবে। সতর্কতাই আমাদের এই ভাইরাস থেকে প্রথমত দূরে রাখতে সাহায্য করবে। এই ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের উদ্যোগ নিতেই হবে। এজন্য সতর্কতা এবং সতর্কতাই হবে মূল।বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে সে ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। বিমানবন্দর, নৌবন্দরে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এর সঙ্গে দেশি প্রকল্পে নিয়োজিত বিদেশি নাগরিকদের ওপরও নজর রাখা হচ্ছে। বাংলাদেশে এসেছেন, এমন নাগরিকদের পর্যবেক্ষণে রাখছেন কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বায়নের যুগে যেমন আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে উঠেছি। তেমনি নানমুখী সমস্যাও আমদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি ও আধুনিক চিকিৎসা দিয়ে এসব সমস্যার সমাধানও করতে সক্ষম হই। তবে সমাধানের আগেই অনেক কিছু হারাতে হয়। তারপরও আমরা সম্ভাবনার বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা সব কিছু জয় করবোই। এর আগে আমরা ডেঙ্গু ভাইরাস মোকাবিলা করেছি। অনেকটা সফলও হয়েছি। এবার করোনাভাইরাস থেকেও আমরা সতর্ক থেকে মোকাবিলা করবো। এজন্য প্রতিটি নাগরিককে সচেতন হতে হবে। সরকারের সঙ্গে আমাদের সবার সহযোগী মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। তবে কোনোভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলা সঠিক হবে না।
বিশ্বে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসীদের খোঁজ জানান প্রশাসনকে। তাদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। সামাজিক আচার অনুষ্ঠান আপাতত বন্ধ রাখতে হবে। সরকারের নির্দেশাবলী মানতে হবে। মনে রাখতে হবে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে যেন হয়রানি করতে না পারে।
আপনি সচেতন হোন, অন্যকে সচেতন করুন। সাধারণত জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, শ্বাস কষ্ট, বমি, নিউমোনিয়া হলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ভাইরাস থেকে নিজেকে নিরাপতদ রাখার জন্য নিয়মিত হাত ধুয়ে করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ রাখুন। হাঁচি কাশির পর টিস্যু ব্যবহার করুন। টয়লেট ব্যবহারের পর টয়লেট টিস্যু ব্যবহার করুন। হাত ময়লা হলে সাবান দিয়ে হাত ধুবেন।
আসুন আমরা নিজে সচেতন হই, অন্যকে সচেতন করার জন্য সচেষ্ট হই। করোনা মানে মৃত্যু নয়, আতঙ্ক নয়, সচেতনতাই করোনা প্রতিরোধে অন্যতম মাধ্যম।
Leave a Reply