বেইজিংয়ের প্রস্তাবিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের পর ধনী চীনারা হংকংয়ে খুবই কম তহবিল রাখবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এই আইনের ফলে চীনের মূলভূখণ্ডের কর্তৃপক্ষ তাদের তহবিল খুঁজে বের করে তা জব্দ করতে পারবেন বলে আশঙ্কা রয়েছে।
ব্যাংকার ও শিল্পকারখানার সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।
হংকংয়ের ব্যক্তিগত মালিকানার সম্পদের অর্ধেকেরও বেশি এক লাখ কোটি ডলার চীনের মূলভূখণ্ডের লোকজনের কাছ থেকে আসা। এসব অর্থ তারা হংকংয়ে রেখে দিয়েছেন। চীনের নৈকট্য থেকে লাভবান হচ্ছে শহরটি। এছাড়া তাদের আইনি ব্যবস্থাও ভিন্ন। হংকংয়ের মুদ্রার মানও ডলারের হিসাবে নির্ধারণ করা।
কিন্তু চীনের নতুন আইনের কারণে পুঁজি ও ফ্লাইট সুবিধার দরুন বৈশ্বিক অর্থনীতির কেন্দ্র হিসেবে হংকং তার সুবিধা হারাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এক ডজন ব্যাংকার ও চাকরিদাতার সঙ্গে কথা বলে রয়টার্স জানিয়েছে, মূল অফশোর সম্পদের জন্য অন্যত্র জায়গা খুঁজছেন চীনা নাগরিকরা। সেক্ষেত্রে সিংগাপুর, সুইজারল্যান্ড ও লন্ডন তাদের তালিকার শীর্ষে রয়েছে।
ক্রেডিট সুইস প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৯ সালের মাঝামাঝিতে প্রাপ্তবয়স্কদের গড় সম্পদে সুইজারল্যান্ডের পরেই রয়েছে হংকং।
আর ৫০ মিলিয়নেরও বেশি সম্পদ আছে, এমন মানুষদের সংখ্যায় বিশ্বের দশম স্থানে শহরটি।
Leave a Reply