মোঃ ছাইফুল ইসলাম (জিহাদ ) ঃঃ হাতিয়া উপজেলা প্রতিনিধিঃ
হাতিয়া বুড়িরচর বড়দেইল ০৬ নং ওয়ার্ডে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষের পর গরু না থাকায় নাতীকে চমকায় বসিয়ে মইতে রশি বাদিয়ে কৃষক ক্ষেত প্রস্তুত করছেন মোঃ ছানা উল্যাহ মাঝী। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আট সদস্যের সংসার তার।
এক মেয়ে ও তিন ছেলে স্ত্রী পুত্রবধু সহ আট সদস্যের পরিবার তার । একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। বড় ছেলে গ্রামে ছোট একটি দোকান করেন। বাকীদেরকে আর স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসার।
তারিখে সরেজমিনে ঐ গ্রামে গিয়ে দেয়া যায়, প্রথমে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করিয়েছেন মোঃ ছানাউল্যাহ মাঝী। তবে, জমি সেই সমান করার জন্য কোনো গরু না থাকায় সেই কাজটি নাতীকে চমকায় বসিয়ে রশি টানছেন নিজের হাতে।
মোঃ ছানাউল্যাহ মাঝি জানান অল্প কিছু জমি তিনি বর্গা চাষ করছেন। কিন্তু টাকার অভাবে কয়েকদিন ধরে ক্ষেতে মই দিতে পারছিলেন না। অনেক জায়গায় টাকা ধার চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। পরে নিরুপায় হয়ে নাতীকে চমকায় বসিয়ে দিয়ে মইয়ের রশি টানছেন।
, আট সদস্যের সংসারে এই বৃদ্ধ বয়সে কোন মতে সময় কাটছে তার। তাই কিছু টাকা বাঁচানোর জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। কারও কাছে টাকা ধার চেয়ে না পাওয়া এবং পেলেও সময়মতো পরিশোধ করতে না পারলে অনেক কথা শুনতে হয়। তাই কারও কাছে মাথা নত না করে নিজের কাজ নিজে করাই উত্তম বলে মনে করেছেন এই কৃষক।
বড় ছেলে রাতুলের সাথে এই বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন আমার বাবা একজন পরিশ্রমী লোক কিন্তু এখন বাবার বয়স হয়ছে। তাই কাজও ঠিকমতো করতে পারেন না। এলাকায় কাজের লোক পেলেও পারিশ্রমিক দিতে হয় বেশি। জিবন বাচাঁনোর তাগিদে
ও অভাবের তাড়নায় এই রকম পরিশ্রম করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। তিনি বলেন ছোট ভাইদের অনেক কষ্টে পড়া লেখা করিয়ে একজনকে আই এ আরেক জনকে বি এ পাশ করিয়েছি কিন্তু টাকার জন্য কোনখানে চাকুরি হয়নি। সরকার যদি আমাদের একটু সহযোগিতা করতো তাহলে হয়তো একটু কষ্ট কম হতো। হতদরিদ্র কৃষক মোঃ ছানা উল্যাহ সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।
Leave a Reply