নিজস্ব প্রতবেদক: হিজলায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত গনি মোল্লার মৃত্যু। হিজলা প্রতিনিধিঃ বরিশালের হিজলা উপজেলার হিজলা গৌরবদী ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত গনি মোল্লা (৬০) হামলার১২ দিন পরে মৃত্যু। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় হিজলা গৌরবদী ইউনিয়নের মান্দ্রা তর কুসুরিয়া গ্রামের কাশেম মোল্লার ছেলে আনোয়ার মোল্লার বাড়ির আঙিনার কয়েকটি গাছ জাকির জমাদ্দার ছাগলে খাওয়া কে কেন্দ্র করে বাড়িতে মহিলাদের মাঝে ঝগড়া ঝাটি হয় ওই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে মান্দ্রা বাজারে গত ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা সাতটার দিকে কাঞ্চন জমাদ্দার আনোয়ার মোল্লাকে মান্দা বাজারে খবর দিলে আনোয়ার মোল্লা বাজারে আসে। বাজারে আসার সাথে সাথে খলিল, নাদের, ফারুক, সোহেল জমাদ্দার সহ দশ বারোজনের আনোয়ার মোল্লা কে নোমান এর ফার্মেসির মধ্যে ঢুকিয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। মারধরের সংবাদ শুনে আনোয়ার মোল্লার পরিবারের সবাই বাজারে আসলে ওই হামলার শিকার হয় আনোয়ার মোল্লা সবুজ মোল্লা ও বড় ভাই গনি মোল্লা সহ কয়েকজন। গনি মোল্লা কে এতটাই মারধর করেছে সে সহ্য না করতে পেরে শাহজাহানের কাঠের দোকানে ঢুকে ও রক্ষা পায়নি শেখানো গনি মোল্লা কে দ্বিতীয় দফায় মারধর করা হয়। হামলার দশ দিন পর গনি মোল্লার মৃত্যু। এই হামলাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য জাকির জমাদ্দারের স্ত্রী খায়রুন্নাহার কে দিয়ে হিজলা থানায় একটি ধর্ষণের চেষ্টার মামলা দায়ের করে এমনটাই জানিয়েছেন ওই দিনের হামলার প্রত্যক্ষদর্শীরা। আর হামলায় আহতরা উপায়ন্তর না পেয়ে বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। মান্দ্রা বাজার এর সভাপতি ডাক্তার শাজাহান জানায় ঐদিনের হামলা এতটাই নিঃশংস যে বাজার ব্যবসায়ীরা আনোয়ার মোল্লার পরিবারকে রক্ষা করতে পারেনি। বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম হামলার সত্যতা স্বীকার করে বলে বাজারে এই প্রথম বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা বলে জমাদ্দারা এতটাই প্রভাবশালী তাদের পরিবারে দুই থেকে আড়াইশ লাঠিয়াল বাহিনী রয়েছে তাদের ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে পারছেনা। হিজলা থানা অফিসার ইনচার্জ ইউনুস আলী ওই দিনের হামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন নিহত গনি মোল্লার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply