হিজলা প্রতিনিধি।। বরিশালের হিজলা উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের চর দুর্গাপুর গ্রামের হাসান আলী বেপারী ২০২৩ সালের ৬ই জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। ছেলে ইদ্রিস বাবার মৃত্যুকে পুঁজি করে ৯ জনকে আসামি করে হিজলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানায় ওই মামলায় যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তাদের অনেকেই দিনমজুর এমনকি কলেজ পড়ুয়া ছাত্রকে ও আসামি থেকে বাদ দেয়নি।
ঘটনা স্থলে গিয়ে জানা যায় হাসেন আলীর সাথে মিয়া গংদের সাথে সীমানা প্রাচীর নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল যা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বার ও সালিশগণ সমাধান করে দিয়েছে। সমাধানের পর শান্তিপূর্ণভাবে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছে।
স্থানীয় দুলাল সরদার জানায় জুম্মার নামাজের পূর্ব মুহূর্তে নিহত হাসেন আলী (৬৫) ও আসামি সেলিম মিয়া মসজিদের পাশের রাস্তা দিয়ে কথা বলতে বলতে আসতেছিল।
চোখের পলকেই হাসেন আলী ভাঙ্গা রাস্তার খাদে পা পড়ে লুটেপরে। তখন সেলিম মিয়া হাসেন আলী বেপারীকে পাজা করে ধরে তোলার চেষ্টা করে এবং ডাক চিৎকার দিলে হাসেন আলী বেপারীর ছেলে ইদ্রিস, পাশের বাড়ির মসজিদের মুসল্লী মোজাম্মেল ও দুলাল, অচেতন অবস্থায় হাসান আলী বেপারীকে ঘরে নিয়ে যায়।
মামলার সাক্ষী হান্নান সরদার জানায় যেদিন হাসেন আলী মারা গেছে সেদিন ছিল শুক্রবার ,আমি সহ অনেকে মুসল্লিদের উপস্থিতিতে হাসান আলী মৃত্যুবরণ করে।
স্থানীয় শহীদ হাওলাদার জানায় হত্যা মামলায় যাদেরকে জড়ানো হয়েছে তারা অধিকাংশই ঐদিন এলাকায় ছিল না। এমনকি এক নম্বর আসামি মোহাম্মদ আলী আমার নাড়াপাড়ার দেওয়ার কাজ করেছিল।
নিহত হাসান আলীর সীমানা প্রাচীর নির্মাণের শ্রমিক নান্নু সরদার জানায় ঐদিন কোন কারো সাথে ঝগড়া বিবাদ বা মারামারি হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নোমান হোসেন সরদর বলেন বিভিন্নভাবে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে হাসেন আলী বেপারী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
স্থানীয় সচেতন-মহল বলছে হাসান আলী বেপারীর মৃত্যুর পরে তার ছেলে সাধারণ মানুষকে আসামি করে এ ধরনের হত্যা মামলা দেয়া কোনভাবেই ঠিক হয়নি।
Leave a Reply