হিজলা প্রতিনিধি।
জানা যায় ২০২১ সালে অবহেলিত দুর্গম হিজলা উপজেলা সাধারণ মানুষের কথা ভেবে ইউনেস্কোর সদস্য হিজলার সন্তান শাহ আলম রিয়াদ মরহুম মেজর আফসার উদ্দিন এর বড় ছেলে শাহরিয়ার মোঃ সালাউদ্দিনের কাছ থেকে ৬ শতক জমি ক্রয় করে। সেখানে শাহ আলম রিয়াদ চারতলা বিশিষ্ট্য আধুনিক মডেলের একটি ভবন নির্মাণ করে। চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু করে।
দ্বন্দ্বের বিষয়ে ভবনের মালিক ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শাহ আলম রিয়াদ স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের জানায় প্রতিষ্ঠান চালু করে একক মালিক হিসেবে ছয় মাস পরিচালনা করেছি। এরপর উন্নত যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য রফিক সরদার জাহাঙ্গীর ও সামু চৌধুরীকে ৪৫ শতাংশ ব্যবসায়ী মালিকানা প্রদান করেছি।
তারা মালিকানার জন্য যে অর্থ দেয়ার কথা ছিল তা না দিয়ে উল্টো প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস এবং দখল করার পায়তারা চালাচ্ছে। এমনকি এখনও ভবনের কোন ভাড়া প্রদান করেনি। তিনি আরো বলেন রফিক জাহাঙ্গীর গংরা এর আগেও ইভডো সোসাইটি নামক একটি ঋণদান প্রতিষ্ঠান কে ধ্বংস করে নিজেরা স্বাবলম্বী হয়েছে। গত বছর শাহ আলম রিয়াদের স্বাক্ষরিত একটি চেক প্রতিষ্ঠান থেকে চুরি হয়। চুরি হওয়া চেক এর বিপরীতে হিজলা থানায় জিডি করেছে।
স্থানীয় ফরিদ উদ্দিন ইভডো সোসাইটির প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের পরিচালকদের একজন, তিনি বলেন রফিক জাহাঙ্গীর গং দের দুর্নীতি আর প্রতারণার কথা বলে লাভ কি এরা ইভডো সোসাইটি প্রতিষ্ঠানের জমি তাদের নামে রেকর্ড করে নিয়ে যায়, এমনকি প্রতিষ্ঠানের কোটি টাকার মতো আত্মসাৎ করে। ওই ঘটনায় বরিশাল আদালতে মামলা চলমান।
এদিকে ভীশণ কেয়ার হসপিটালের মালিকপক্ষের আরেকজন রফিক সরদার জানায় শাহ আলম রিয়াদ একজন জাতীয় পর্যায়ের চিটার। ৭০ লক্ষ টাকার যন্ত্রপাতি ক্রয় করে প্রতিষ্ঠানের ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকার ভাউচার তৈরি করে হাতিয়ে নেয়। তিনি আরো বলেন শাহ আলম রিয়াদ আমাদের পাওনা টাকার চেক দিয়েছে এখন বলছে চুরি হয়েছে।
বর্তমানে সামু চৌধুরী চুরি হওয়া ওই চেক দিয়ে চেক ডিজ অনার মামলা দায়ের করে। আবার শাহে আলম রিয়াদ একইভাবে বরিশাল আদালতে চেক চুরি মামলা দায়ের করেছে। উভয় পক্ষের মামলা চলমান।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় দুই পক্ষের এই দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন চলছে এমনকি স্থানীয়রা সালিশগণ একাধিকবার সালিশ বৈঠক করে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি গড়ায় হিজলা থানায় অফিসার ইনচার্জ জুবাইয়ের আহমেদ শান্তির শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য হসপিটালের সকল কার্যক্রম ম্যানেজারকে পরিচালনা করার দায়িত্ব প্রদান করেন যতক্ষণ না পর্যন্ত মীমাংসা হবে।
এদিকে স্থানীয় বিভক্ত আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ দুই গ্রুপের পক্ষ অবলম্বন করে মাঝে মধ্যেই পৃথক পৃথকভাবে মহড়া দিতে দেখা যায়। হিজলা থানার অফিসার ইনচার্জ জুবাইর আহমেদ বলেন ভীশণ কেয়ার হাসপাতালের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য থানা পুলিশ প্রস্তুত আছে।
Leave a Reply