বরিশালের হিজলা কোষ্টগাডের সিসি শামিম আহাম্মেদের হুমকির মুখে প্রশাসন, সাংবাদিক, ছাত্রলীগ। ১২ মে মঙ্গলবার সারে তিনটার দিকে জেলেদের নৌকা নিলামে বিক্রি করে হস্তান্তর করার সময় ইউএনও’র অফিস সহকারীকে লাঞ্ছিত করে কোষ্টগার্ড।
তাৎখনিক ইউএনও মৎস্য কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেন। মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতেও ২য় দফায় লাঞ্ছিত করেন হিজলা কোষ্টগার্ড সিসি শামিম আহাম্মেদ।
সিসি নিজে বার বার বলতে থাকেন, সিসি হতে লক্ষ লক্ষ টাকা লাগে। টাকা ছাড়া নৌকা নেয়া যায় না। অপমানে ঘটনাস্থল ত্যগ করেন উপজেলা ভ’মি অফিস সহকারী ওয়াদুদ। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে থম থমে ভাব বিরাজ করছে।সূত্রে এবং ভূমি অফিসের অফিস সহকারী জানান,
তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমীনুল ইসলাম এর নির্দেশ মোতাবেক মৎস্য অভিযানকালে জেলেদের অটককৃত ৬ টি ছোট বড় ট্রলার নৌকা নিলাম ডাক কৃতদের বুঝিয়ে দেয়ার জন্য কোষ্টগার্ড পল্টুনে গেলে সংবাদকর্মী ফকির সাইফুল ইসলামের উপস্থিতিতে কোষ্টগার্ড সিসি শামিম আহাম্মেদ তার অধিনস্ত ৬ জনের হাতে ৬ টি লাঠি দিয়ে বলে প্রশাসন, ছাত্রলীগ, সাংবাদিককে লাঞ্চিত করার নির্দেশ প্রদান করে।
এই সংবাদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিনুল ইসলাম জানার সাথে সাথে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অনিল কুমার দাস কে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। এতে কোস্টগার্ডের সিসি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ডাকচিৎকার দিয়ে বলে আমি ইউএনও’র অধিনে চাকরি করি না।
ঘটনাস্থলে থাকা জেলে হাবিব জমামাদর, কাদির জমাদার, বাবুল, আইয়ুব আলী, নজুগাজি, কালু বয়াতি, ফারুক জমাদার সহ একাধিক ব্যাক্তি জানান কোন কারণ ছাড়াই সিসি শামিম এবং তার সহকারী ফরহাদ কেন এমন আচরণ করলেন তা আমরা এখনো বুঝতে পারিনি। আমাদের এক একটি নৌকায় সোলার, প্যানেল, গ্যাস সিলিন্ডার, ব্যাটারি, নগদ ৩০ হাজার টাকা এর কোনটাই পাই নি। এর হদিসও নেই। আসলে এ কেমন বাহিনী।
উপস্থিত মৎস্য কর্মকর্তা অনিল দাসকে অবহিত করা হলে তিনি কথা না বাড়ানোর অনুরোধ করেন। মৎস্যকর্মকর্তা অনিল দাস ঘটনার বিবরনী দিতে গিয়ে বলেন -যা হয়েছে আমরা পরে দেখব।এদিকে ইউএনও’র অফিস সহায়ক জাকির হোসেন জানান সিসি শামিম আহাম্মেদ তাকেও লাঞ্ছিত করেছে।
কোষ্টগার্ড শামিম আহাম্মেদের নিকট উপজেলা প্রশাসন, সাংবাদিক, ও ছাত্রলীগের উপর ক্ষিপ্ততার সম্পর্কে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের বিষয়টি এরিয়ে গিয়ে বলেন সাংবাদিক সাইফুল কোষ্টগার্ডেও বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশনের কথা তুলে ধরেন।এদিকে ছাত্রলীগ সভাপতি সোলাইমান শান্ত বলেন দীর্ঘ দিন যাবত মেঘনা নদীতে অসহায় জেলেদের কাছ থেকে মাসোয়ারা, নৌকা,
ট্রলার আটক করে মোটা অংকের টাকা গ্রহন সহ নানা অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা তাহার প্রতিবাদ করায় সিসি শামিম আহাম্মেদ বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়।বালু ব্যবসায়ী মনির হোসেন মোল্লা জানায় আমি লোড আনলোড দিয়ে বৈধ ভাবে বালুর ব্যবসা করছি, কোষ্টগার্ড সিসি আমার নিকট ২০ হাজার টাকা দাবী করলে, আমি টাকা না দেওয়ায় আমার আনলোড ড্রেজার তুলে নিয়ে যায়,
তিনি আরো বলেন আমার আশপাশে থাকা আরো ৬ টি ড্রেজারের কাছেও যায়নি এছাড়াও চাঁদপুর থেকে একটি বলগেটে লাল বালু নিয়ে আসায়বলগেটেরলোকজনকে মারধর করে ১০ হাজার টাকা নিয়ে, ঐ বলগেটে থাকা শ্রমিকদের দিয়ে বলায় যে আমরা টাকা নেয়নি তা ভিডিও করে রাখে কোষ্টগার্ড।হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমীনুল ইসলাম জানান ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছেন। বিষয়টি দুঃখজনক।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে কোষ্টগার্ড ভোলা জোন অপারেশন অফিসার লেঃ শাকিল জানান বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিবেন।
Leave a Reply