বরিশালের হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের খুন্নাগবিন্দপুর গ্রাম থেকে ঈদ উপলক্ষে দুস্থদের জন্য সরকারের বিশেষ বরাদ্দের চাল উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় খুন্না গবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ বয়াতী ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার (১.২.৩) খালেদা খানমকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে খোরশেদ আলম বয়াতী চালসহ গ্রেফতার হলেও মহিলা মেম্বার আত্মগোপনে রয়েছে।
হিজলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অসীম কুমার সিকদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বর খালেদা বেগম এর খুন্না গবিন্দপুর গ্রামের বাড়ির পার্শ্ববর্তী খোরশেদ বয়াতীর ঘরে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় সেখান থেকে ১২ বস্তায় ৯ মন সরকারি চাল এবং আরও ৫০টি খালি বস্তা উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি সরকারি চাল আত্মসাত এবং কালোবাজারির অপরাধে খোরশেদ বয়াতীকে আটক করে পুলিশ।হিজলা থানার ওসি জানিয়েছেন, ‘আটককৃত খোরশেদের বক্তব্য অনুযায়ী উদ্ধারকৃদ সরকারি চালের প্রকৃত মালিক ইউপি সদস্য খালেদা খানম।
তিনি চাল দুস্থদের মাঝে বিতরণ না করে তা খোরশেদের বাড়ীতে রেখে কালোবাজারে বিক্রি করে। তাই এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ইউপি সদস্যকেও আসামি করা হয়েছে। এদিকে বড়জালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পন্ডিৎ শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ‘ওয়ার্ডের দুস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য ইউপি সদস্যদের মাঝে চাল পৌছে দেয়া হয়েছে। তারা তা বিতরণ না করে আত্মসাত করলে সে দায়ভার চেয়ারম্যান নিবে না।
তিনি বলেন, ‘দেশের এই চরম মুহুর্তে সরকার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। অথচ কিছু অসাধু লোক তা নিয়ে দুর্নীতি করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। তাই চাল উদ্ধারের ঘটনাটি সুষ্ঠু ভাবে তদন্ত করে এর সাথে আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান পন্ডিৎ শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
Leave a Reply