কক্সবাজারের টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ৪ পুলিশ সদস্যসহ সাত আসামির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন।
রিমান্ড পাওয়া সাত আসামি হলেন- পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সিনহা হত্যাকাণ্ডে পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়ার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও মোহাম্মদ আইয়াস।
এর আগে সিনহা হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপসহ তিন আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। বাকি চার পুলিশ সদস্যকে দু’দিন ধরে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে র্যাব। শুনানি শেষে আদালত এই চার পুলিশ সদস্যকে সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
এ ছাড়া পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। বুধবার আবেদনের শুনানি শেষে তাদের ৭ দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।
ঘটনার পর কক্সবাজার পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, রাশেদ তার পরিচয় দিয়ে ‘তল্লাশিতে বাধা দেন’। পরে ‘পিস্তল বের করলে’ চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গুলি করে। তবে পুলিশের এমন ভাষ্য নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন ওঠে।
Leave a Reply