মোহাম্মদ আব্দুর রহিমঃ ইসলামপুর প্রতিনিধি ঃ জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা বন্যার পানি কমতে শুরু হওয়া সার্বিক পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। মঙ্গলবার যমুনার পানি বিপদ সীমার প্রায় তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি কমায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। এতে করে পানি বাহিত রোগ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে বন্যা দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির পাশাপাশি হাঁস, মুরগী সহ গো খাদ্যে চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
বেলগাছা ইউ পি চেয়ারম্যান আঃ মালেক জানান, বন্যা দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, রান্না করা খাবার ও গো- খাদ্যের তীব্র সংকট। বাড়িঘরে বিশুদ্ধ পানি না থাকায় রান্না করার খাবার খেতে পারছি না । শুকনো খাবার হলে পানি বন্দিরা উপকৃত হবে। যমুনা নদীর দূর পারে ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে।
সাপধরী ইউ পি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, সাপধরী ইউনিয়ন পুরাটাই বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । । ত্রাণ তৎপরতা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। চেঙ্গানীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি যে কোন মুহুর্তে নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
ইসলামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, পানি বন্দিদের জন্য তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানি বন্দিদের জন্য ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ২১ মেঃটন চাল শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসক মোর্শেদা জামান ও জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী ইসলামপুরের বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন এবং ত্রাণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে ।
Leave a Reply