নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের হিজলা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আমির হোসেনের মার ধরে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন স্বামী-স্ত্রী। আহতরা হলেন,উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের মোঃ ইয়াদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নাসিমা বেগম। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা সাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। উভয় পক্ষই হিজলা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন, হিজলা থানার এস আই ফরিদ এবং এস আই সাইফুল ইসলাম মেডিকেল পরিদর্শন করেছেন।শুক্রবার ২২ অক্টোবর উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের গুয়াবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোঃ ইয়াদুল বলেন, বাড়ির রাস্তায় ময়লা ফালানোকে কেন্দ্র করে আমার স্ত্রীর ছোট ভাই বিল্লাল হোসেনের (আমিরের ছোট চাচা)স্ত্রী রানী বেগমের সাথে আমির হোসেনের স্ত্রীর তর্ক বিতর্ক হয়।ঢাকা থেকে বিল্লাল হোসেন মোবাইল ফোনে ভাগনী নাসিমা বেগমকে উভয় পক্ষকে শান্ত করার জন্য তাদের বাড়িতে যেতে বলেন। যাওয়া মাত্র উত্তেজিত হয়ে আমির গংরা আমার স্ত্রীর উপর মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করতে থাকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নাসিমা বেগম জানান,আমার নানা বাড়ি (অথাৎ আমির হোসেনের বাড়ি) যাওয়ার সাথে সাথেই আমির গংরা আমাকে মোটা দড়ি দিয়ে বেঁধে টেনে হিঁচড়ে ঘরের মধ্যে নিয়ে বেদম মারপিট করে। অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা আমির হোসেন বলেন,সম্পর্কে নাসিমা আমার ফুফাতো বোন হয়।সে আমার বাড়িতে এসে আমাদেরকে মারধর করেছে আমরা ভয়েও তার কাছে যাইনা। সরজমিনে গেলেই আপনারা বুঝতে পারবেন তার আসল কাহিনি।
Leave a Reply