হিজলা প্রতিনিধিঃ বরিশালের হিজলা উপজেলায় পিতা পুত্রের মৃত্যু নিয়ে নানান নাটকীয়তা চলছে। গত ২৭ মে সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার বরজালিয়া ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর গ্রামে টি ভি সি ইটভাটায় পিতা পুত্রের মৃত্যু হয়।
শ্রীপুর গ্রামের মৃত্যু সামছুল হক হাওলাদারের ছেলে কাসেম হাওলাদার বাড়ির পাশে নদীর পাড়ে ছাগল চড়াতে যায়।সেখানে টি ভি সি ইটভাটার অবৈধ ভাবে রাখা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে কাসেম হাওলাদার (55)মৃত্যু হয়।এ দৃশ্য কাসেম হাওলাদারের ছেলে মোক্তার হোসেন (২৭)দেখে বাবাকে বাচাতে গিয়ে তিনি বিদ্যুতের সংস্পশে মারা যায়।অপর ছেলে মনির হোসেন তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়।এ সংবাদ তাদের এলাকায় ছড়িয়ে পরলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হিজলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।হিজলা উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার মীর মাজারুল ইসলাম রনি কাসেম হাওলাদার ও তার ছেলে মোক্তার হোসেনকে মৃত্যু ঘোষনা করে।এ সংবাদ শুনে হিজলা থানার পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে লাশ তাদের জিম্মায় নিয়ে যায়।হাসপাতালে প্রায় চার থেকে পাচ ঘন্টা লাশ রেখে দেনদরবারে ব্যথ হয়ে লাশ থানায় নিয়ে আসে।থানা পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য সেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরন করে।২৮ তারিখ বিকালে মৃত্যু কাসেম হাওলাদারের ছেলে মনির হোসেন বাদী হয়ে বাবা ভাইর মৃত্যুর দায়ে হিজলা থানায় একট অভিযোগ করে।অভিযোগে টি ভি সি ইটভাটার মালিক গোলাম মোস্তফা খোকন তালুকদার তার ভাই রিয়াজ তালুকদার ভাটার ম্যানেজার মনির হাওলাদারের নাম উল্লেখ করে।হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কমকতা অসিম কুমার সিকদার অভিযোগের সত্যতা স্কিকার করেন।এবং তিনি অভিযোগ নিয়ে গড়িমসি করে বলেন মনিরের মা বাদী হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অন্যদিকে নিহত পরিবারকে ম্যানেজ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইটভাটার মালিক সমিতির সভাপতি ও ক্ষমতাসীন দলের এক প্রভাবশালী নেতা।এভাবেই টিভিসির ইটভাটার মালিক একের পর এক হত্যাকে ম্যানেজ করে চলছে।মৃত্যু কাসেম হাওলাদারের স্ত্রী পাখিনুর বেগম জানায় টি ভি সি ইটভাটার মালিক খোকন তালুকদার খামখেয়ালীর কারনে আমার স্বামী ছেলে জীবন দিতে হয়েছে।তিনি যদি এভাবে বৈদ্যুতিক তার না রাখতে আমার স্বামী ও ছেলের মৃত্যু হতোনা।বরজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সুলতান কাজি জানায় এ মৃত্যু নিয়ে নানান তালবাহানা করে একটি চক্র।পরিবারটি কে অথের লোভে দেখিয়ে ম্যানেজ করে।তারা আইনী বিচার থেকে বঞ্চিত হয়।খোকন তালুকদারের ক্ষমতার উৎস কি এমন প্রশ্ন গ্রামবাসীর।মৃত্যু কাসেম হাওলাদারের ভাই রকমত হাওলাদার বলেন দুই মাস পূবে ভাটা বন্ধ হয়ে যায়।কিন্তু তিনি অবৈধ ভাটার বিদ্যুৎ লাইন অপসারন করেনি।আজ তার অবৈধ কাজের খেশারত দিতে হলো আমার ভাই ভাতিজাকে।এখন আমার ভাইর পরিবার নষ্ট করে দিলো।এই বিচার এখন কে করবে।বিগত ১০ বছর আগে প্রতিষ্ঠা হয়েছে কয়েক শতক জমি নিয়ে টিভিসি ইটভাটা।বতমান টিভিসির ইটভাটার মালিক খোকন তালুকদার শত একর সম্পত্তির মালিক।উত্তর শ্রীপুর গ্রামের আলাউদ্দিন কাজি জানায় এই খোকন তালুকদারের ক্ষমতার উৎস কি জানিনা।একের পর এক বাড়ি দখল করছে অবৈধ কৈৗশল অবলম্বন করে।আর গড়ে তুলছে একাধিক ইটভাটা।অনেক বাড়ির কবর স্থান এখন তার ইটভাটার তলে।ঘরবাড়ির মালিক তার কাছে জিম্মি হয়ে অন্যথে চলে যেতে ব্যথ হয়।তার বিরুদ্ধে আইনী লড়াইয়ে যেতে ভয় পায় তার টাকার ক্ষমতার কাছে।তার ভাটায় উচ্ছেদ হয়েছে নুরু বেপারী বাড়ি আইয়ুব আলী মোল্লা বাড়ি ইউসুফ আলী গাজি বাড়ি মোসলেম বেপারী বাড়ি কাসেম আলী কাজি বাড়ি রহিম সরদার বাড়ি জবেদ আলী মাঝি বাড়ি সহ অনেক পরিবার।আলাউদ্দিন কাজি আরো জানায় তারা এখন বাড়ি নিয়ে হুমকির মাঝে আছে।ইটভাটার কারনে গাছপালা হাসমুরগি কিছুই করতে পারছে না।তাদের এখন বাড়ি ছেড়ে অন্যথে চলে যেতে হবে।খোকন তালুকদারের টিভিসি ইটভাটায় সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় করুন চিত্র।ইটভাটার ঠিক মাঝ খানে রয়েছে আবুল মাঝির একটি বাড়ি।আবুল মাঝির স্ত্রী মাকসুদা বেগম জানায় তাকে উচ্ছেদের জন্য নানা পায়তারা চলছে।তিনি এখন হুমকির মুখে আছে।বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি দমকি দিয়ে আসছে।তিনি আতৎকে দিনযাপন করছে।
Leave a Reply